Posta Flyover

ব্যবসায়ীরা রাজি নন, পোস্তা উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

প্রশাসনের অন্দরের খবর, বিবেকানন্দ উড়ালপুল নিয়ে সরকারের কোন পদক্ষেপ উপযুক্ত হবে, তা দ্রুত জানাতে কয়েক মাস আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২০ ০২:৪১
Share:

ফাইল চিত্র।

বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছে ভেঙে দিতে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও ঘোষণা করেনি সরকার। এই দোলাচলে এখনও ঝুলে রয়েছে পোস্তা উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ। বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে পোস্তার বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির। ওই কমিটিতে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব, পূর্তসচিব-সহ প্রশাসন এবং পুলিশের একাধিক কর্তা এবং সেতু বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু মুখ্যসচিব হিসেবে বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় দে বা রাজীব সিংহের জমানায় সেতু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি সরকার। বুধবার রাজীব সিংহ অবসর নেওয়ার পরে নতুন মুখ্যসচিব হিসেবে কাজ শুরু করেছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এই দায়িত্ব এ বার তাঁর উপরে চলে এল বলে প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি।

Advertisement

প্রশাসনের অন্দরের খবর, বিবেকানন্দ উড়ালপুল নিয়ে সরকারের কোন পদক্ষেপ উপযুক্ত হবে, তা দ্রুত জানাতে কয়েক মাস আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই রাজীববাবু যোগাযোগ করেন সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়নার সঙ্গে। তিনি এসে উড়ালপুলের হাল খতিয়ে দেখে সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। সরকারি সূত্রের দাবি, রিপোর্টে বিবেকানন্দ উড়ালপুল ভেঙে ফেলারই সুপারিশ করেছেন রায়না। এ বার সরকারকেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ বিষয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেই অনুযায়ী কাজ হবে।’’

আধিকারিকমহলের একাংশের দাবি, উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পরে রাইটস, আইআইটি খড়্গপুর এবং অন্য একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে পৃথক ভাবে সেটির সমীক্ষা করিয়েছিল সরকার। কিন্তু কোনও রিপোর্টই নির্দিষ্ট ভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে উপযুক্ত না হওয়ায় ফের ভি কে রায়নাকে দিয়ে সমীক্ষা করানো হয়। এ বার সেই রিপোর্টে স্পষ্ট ভাবে দিক-নির্দেশ করা হয়েছে।

Advertisement

পাশাপাশি, আর একটি সমস্যাও তৈরি হয়েছে প্রশাসনের সামনে। বিবেকানন্দ রোড সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের একাংশ নতুন উড়ালপুল তৈরির পক্ষে সায় দিচ্ছেন না। এ ছাড়া, ওই এলাকায় বহু পুরনো বাড়ি রয়েছে। উড়ালপুল ভাঙতে হলে নতুন বিপত্তির আশঙ্কাও করছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ। ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে এই দিকগুলিও বিবেচনায় রাখতে হবে সরকারকে। পুরমন্ত্রীর কথায়, ‘‘ওই এলাকায় ট্র্যাফিকের গতিবিধি-সহ একাধিক দিক বিবেচনা করে এবং বার বার ভিন্ন ভিন্ন সমীক্ষা করিয়ে উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও এর সঙ্গে থাকে। মানুষের সুবিধা-অসুবিধা-নিরাপত্তা গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচিত হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement