ফাইল চিত্র।
পুজো এগিয়ে আসায় সফরের চাহিদা বাড়ছে মেট্রোয়। তাই আগামী ৪ অক্টোবর থেকে প্রতি রবিবার পরিষেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, পরিষেবা চালু হবে সকাল ১০টায়। দুই প্রান্তিক স্টেশন থেকে দিনের শেষ মেট্রো ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। ট্রেন চলবে ২০ মিনিট অন্তর। তবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় রবিবার বন্ধই থাকছে পরিষেবা।
এর পাশাপাশি, রবিবার সারা দিন প্রবীণ যাত্রীদের ই-পাস বুকিংয়ের ঝক্কি থেকে রেহাই দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। সম্প্রতি বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত প্রবীণ যাত্রীরা ই–পাস ছাড়া মেট্রোয় উঠতে পারছেন। এ বার রবিবার সারা দিনই ওই সুবিধা দিতে চান কর্তৃপক্ষ। মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বয়স্কদের অনেকেই আত্মীয়-পরিজনেদের সঙ্গে দেখা করতে যান। অনেককে কাজে বেরোতে হয়। রবিবার ভিড় কম থাকে। তাই বয়স্কদের দিনভর ই-পাস বুকিং থেকে ছাড় দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।’’
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পরে প্রায় প্রতিদিনই মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। গত শুক্রবার সেই সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। অফিসযাত্রীদের ভিড় ছাড়াও অনেকেই পুজোর কেনাকাটা করতে বেরোচ্ছেন। ফলে দুপুরের মেট্রোয় চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি রবিবার পরিষেবা চালু করার দাবিও উঠছিল। ছুটির দিনে রাস্তায় বাসের সংখ্যা কিছুটা কম থাকায় অনেকেই মেট্রোর অভাব বোধ করছিলেন। তাই রবিবার পরিষেবা চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পুজোর আগে পরিষেবার সময় এবং ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে।
এ দিকে ব্যস্ত সময়ে মেট্রোর চাহিদা বাড়তে থাকায় ই-পাসের সংখ্যা কী ভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কম ব্যস্ত স্টেশনে পাসের সংখ্যা কিছুটা কমিয়ে অন্যত্র সেই সংখ্যা বাড়ানো যায় কি না, তা বিবেচনা করা হচ্ছে। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যাত্রীদের চাহিদা আমরা সব সময়ে নজরে রাখছি। সতর্কতা বজায় রেখে সেই মতো পরিষেবা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।’’