Booster Shot

Boosters dose: শহরে ১৫০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে বুস্টার, প্রস্তুতি পুরসভার

১৫০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯৮টি কোভিশিল্ড, ৩৫টি কোভ্যাক্সিন এবং ১৭টি কোর্বেভ্যাক্স প্রতিষেধক প্রদান কেন্দ্র শুক্রবার থেকে চালু থাকবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২২ ০৭:৫৫
Share:

ফাইল ছবি

১৮ বছরের বেশি বয়সিদের বিনামূল্যে কোভিডের বুস্টার ডোজ় প্রদান শুরু হচ্ছে আজ, শুক্রবার থেকে। এর জন্য কলকাতা পুরসভার ১৫০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ় দেওয়া হবে। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ওই ১৫০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯৮টি কোভিশিল্ড, ৩৫টি কোভ্যাক্সিন এবং ১৭টি কোর্বেভ্যাক্স প্রতিষেধক প্রদান কেন্দ্র আজ থেকে চালু থাকবে। এ ছাড়াও ৮টি মেগাসেন্টার থেকেও ওই বুস্টার ডোজ় দেওয়া হবে।

Advertisement

পরিসংখ্যান বলছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলকাতায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বুস্টার ডোজ় পাওয়ার কথা রয়েছে ৪৬,৯১৯৩৮ জনের। তাঁদের মধ্যে ৬,৫৪৯০৬ জনের কোভ্যাক্সিন এবং ৪০,৩৭০৩২ জনের কেভিশিল্ডের বুস্টার ডোজ় নেওয়ার কথা। প্রসঙ্গত, বর্তমানে এই দু’টি প্রতিষেধকেরই বুস্টার ডোজ় দেওয়া হচ্ছে। ছোটদের ক্ষেত্রে (১৮ বছরের কম বয়সি) কোর্বেভ্যাক্সের প্রথম ডোজ় দেওয়া হচ্ছে।

পুর স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এত দিন শহরে ৮৩টি কেন্দ্র (৭৫টি পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ৮টি মেগাসেন্টার) থেকে কোভিশিল্ড দেওয়া হত। এ বার সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৯৮টি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৭টি পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, যেখানে এত দিন কোর্বেভ্যাক্স (১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের প্রতিষেধক) দেওয়া হত, সেখানে কোভিশিল্ডের বুস্টার ডোজ় দেওয়া হবে। পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানান, বুস্টার ডোজ় নিতে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই এই কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।

Advertisement

পুর স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কোভ্যাক্সিন দেওয়া পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যাও ৩৪টি থেকে বেড়ে হচ্ছে ৩৫। এ ক্ষেত্রেও একটি কোর্বেভ্যাক্স প্রতিষেধক প্রদান কেন্দ্রকে কোভ্যাক্সিন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ফলে কোর্বেভ্যাক্স প্রতিষেধক প্রদান কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৪টি থেকে কমে দাঁড়াচ্ছে ১৭টিতে।

পুরসভার চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কেন্দ্রের নিয়মানুযায়ী, আজ থেকে আগামী ৭৫ দিনের জন্য ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সিদের বুস্টার ডোজ় বিনামূল্যে দেওয়া হবে। কলকাতায় এই বয়সি মানুষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বুস্টার ডোজ় নেননি। তাঁদের প্রত্যেকে এই ডোজ়ের আওতায় আনতেই বুস্টার প্রতিষেধক প্রদান কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

বুস্টার দেওয়া নিয়ে পুরসভার তরফে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠক করেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘বুস্টার ডোজ় আমাদের কাছে মজুত রয়েছে। বরাবরই চেয়েছিলাম, সকলকেই কোভিড প্রতিষেধক দেওয়া হোক।এ জন্য একাধিক বার রাজ্য সরকারের মাধ্যমে কেন্দ্রের কাছে আবেদনও করা হয়। অবশেষে কেন্দ্র সেই আবেদনকে মান্যতা দিয়েছে। এখন চাই, ১৮থেকে ৫৯ বছর বয়সিদের সকলে যেন এই ডোজ় নেন। এ জন্য শহর জুড়ে প্রচার করব।’’

কোভিডের চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিনই শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তি কোভিড রোগীর সংখ্যাও। তবে চিকিৎসকেরা মনে করছেন, ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সিদের প্রত্যেকে বুস্টার ডোজ়ের আওতায় এলে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, মেয়র ফিরহাদ হাকিম আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘‘কেন্দ্রের নীতির জন্যই আমরা ১৮-৫৯ বয়সিদের বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ় দিতে পারছি না। অথচ বেশির ভাগ মানুষ টাকা দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে বুস্টার ডোজ় নিতে অনীহা দেখাচ্ছেন।’’ এ দিন তিনি জানান, বুস্টার ডোজ় নিতে পাড়ায় পাড়ায় মাইকে প্রচার করা হবে। পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভিড় বাড়লে কমিউনিটি হল বা অন্যান্য বড় জায়গাগুলিও বুস্টার দেওয়ার জন্য খুলে দেওয়া হবে। মেয়র আরও জানান, বুস্টার নেওয়ার জন্য প্রচারে যুক্ত করা হবে স্থানীয় কাউন্সিলরদেরও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement