—প্রতীকী ছবি
ভুয়ো পরিচয় দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে হরিয়ানা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি বছরের অগস্ট মাসে এক মহিলা বিধাননগর সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশকে তিনি জানান, বিয়ের বিজ্ঞাপনের একটি ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তিনি। সেখানে এক ব্যক্তি নিজেকে কানাডার বাসিন্দা কল্পেশ পটেল বলে পরিচয় দিয়ে যোগাযোগের আবেদন পাঠান। মহিলা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
এর পরে ওই ব্যক্তি তাঁকে জানান যে, তাঁর জন্য কিছু উপহার কিনে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই উপহার নিতে গেলে শুল্ক ও অন্যান্য কর বাবদ ৮০ হাজার ৮০০ টাকা দিতে হবে। মহিলা সেই উপহার সামগ্রী নেওয়ার জন্য একটি মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে টাকা পাঠান। কিন্তু তার পরেই সেই ব্যক্তি পুরো বেপাত্তা হয়ে যান। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। মহিলার কাছেও কোনও উপহার এসে পৌঁছয়নি। তখনই অভিযোগকারিণী বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এর পরে তিনি বিধাননগর সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তে নেমে চার মাসের মাথায় হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত আদতে এক জন নাইজিরীয় নাগরিক। কল্পেশ পটেল এবং কানাডার বাসিন্দা বলে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রোফাইল খুলেছিলেন তিনি। তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য, ওয়েবসাইটে অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পরিচয় দিয়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার বিভিন্ন চক্র সক্রিয়। সেই প্রলোভনে পা দিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। প্রশাসন সতর্ক করলেও অনেকের হুঁশ ফিরছে না।
বিধাননগর কমিশনারেটের কর্তারা জানিয়েছেন, পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষকে নানা ভাবে সচেতন করার কাজ করছে। কিন্তু অনেকেই যথেষ্ট সচেতন হচ্ছেন না। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ফোনে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কারও প্রস্তাবে তখনই সাড়া দেওয়া উচিত, যখন সেই ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। না হলে জালিয়াতদের হাতে পড়ার আশঙ্কা প্রবল।’’ অনেকেই বিষয়টি তলিয়ে ভাবেন না। তাই সচেতনতার প্রচারে আরও বেশি করে জোর দেওয়া হচ্ছে।