প্রতীকী ছবি।
চাকরির বাজারে এই মুহূর্তে মন্দা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের প্রতারণার অভিযোগ উঠছে। সম্প্রতি যাদবপুর থানায় এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন রিয়া কর্মকার নামে এক যুবতী।
শিবপুরের বাসিন্দা ওই যুবতী আগে স্কুলে ও বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেছেন। ভাল চাকরি পাওয়ার আশায় একটি সংস্থায় বায়োডেটা দিয়ে রেখেছিলেন। সম্প্রতি রিয়াকে আজাদগড়ের একটি বাড়িতে ডেকে বলা হয়, বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়া হবে। অভিযোগে রিয়া জানিয়েছেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে প্রথম দু’দফায় আট হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরে চাওয়া হয় আরও ৩০ হাজার। তখনই তাঁর সন্দেহ হয়।
বন্ধন ব্যাঙ্কের পার্ক স্ট্রিট শাখায় রিয়াকে ২ ডিসেম্বর কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যাঁরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন, চাকরি পাওয়ার আগেই অবশ্য তাঁরা গা-ঢাকা দেন। ওই যুবতীর কথায়, ‘‘আমি আজাদগড়ে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, সেখানে আরও যুবক-যুবতী ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যাঁরা টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন।’’ বন্ধন ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়োগের আগে তাঁরা প্রথমে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেন। তার পরে লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ নিয়ে কৃতকার্যদের চাকরি দেওয়া হয়। এই ধরনের সংস্থা আগেও তাদের নাম করে প্রতারণা করেছে বলে ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে।
রিয়ার অভিযোগ, অক্টোবরের শেষে তাঁকে আজাদগড়ের একটি বাড়িতে ডেকে বায়োডেটা নিয়ে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশন বাবদ আড়াই হাজার টাকা দিতে হবে। সেই টাকা দেন রিয়া। বলা হয়, চাকরি পেলে ওই টাকা তিনি ফেরত পাবেন। এর পরে বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্তা পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি রিয়াকে ফোন করে জানান, তাঁর চাকরি হয়ে গিয়েছে। আবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে ওই যুবতীর নিয়োগপত্র দেখিয়ে নেওয়া হয় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। সেই টাকাও তিনি ফেরত পেয়ে যাবেন বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। কবে, কোথায় রিয়ার প্রশিক্ষণ হবে, কত টাকা বেতন হবে, সব কিছুই সে দিন বলে দেওয়া হয়।
ওই যুবতীর অভিযোগ, প্রথমে তাঁকে বলা হয়েছিল ২৫ নভেম্বর কাজে যোগ দিতে হবে। পরে ফোনে বলা হয়, এই চাকরির জন্য আরও ৩০ হাজার টাকা লাগবে। যা চাকরি পাওয়ার পরে তিনি ফেরত পেয়ে যাবেন। ওই টাকা দিলে তিনি ২ ডিসেম্বর কাজে যোগ দিতে পারবেন। তখনই সন্দেহ হয় রিয়ার।