মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান।
শহরে চারটি পৃথক দুর্ঘটনা। আর তাতেই প্রাণ হারালেন দু’জন। জখম আরও দুই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে ট্যাংরা, পশ্চিম বন্দর, কালীঘাট এবং হেস্টিংস থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোরে একটি গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান পথচারী এক প্রৌঢ়া। চেতলা হাট রোডের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ার নাম রীতা পাল (৫৫)। তাঁকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরের দুর্ঘটনাটি ঘটে এ দিন সকাল পৌনে ৬টা নাগাদ। বিদ্যাসাগর সেতুর উপরে একটি পণ্যবাহী গাড়ি উল্টে গেলে তার চালক বীরেন্দ্র সিংহ গুরুতর জখম হন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ৎকরা হয়। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যেরা অন্যত্র নিয়ে গিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অন্য দু’টি দুর্ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার রাতে। প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ ট্যাংরা থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় অটো উল্টে মৃত্যু হয়েছে এক যাত্রীর। গোবিন্দ খটিক রোড ধরে এক যাত্রীকে নিয়ে অটো চালিয়ে যাচ্ছিলেন চালক। পথের মাঝখানে হঠাৎ করেই একটি কুকুর চলে আসে। সেটিকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন অটোচালক। কিন্তু কুকুর বাঁচলেও তিনি অটোর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। অটো নিয়ে উল্টে পড়ে যান। ওই সময়ে অটোয় চালক ছাড়াও রামপ্রসাদ মৌলিক (৫৪) নামে তপসিয়া রোড সাউথের বাসিন্দা এক প্রৌঢ় যাত্রী হিসেবে বসে ছিলেন। দুর্ঘটনায় তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লাগে। রামপ্রসাদবাবুকে উদ্ধার করে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে
ঘোষণা করেন।
ওই রাতেই অপর দুর্ঘটনাটি
ঘটে হাইড রোডের উপরে পশ্চিম বন্দর থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, রাত পৌনে ১২টা নাগাদ দক্ষিণমুখী একটি ট্রেলার একই অভিমুখে যাওয়া একটি মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। তাতে খিদিরপুর বাবুবাজারের বাসিন্দা সঞ্জয় গুপ্ত
নামে এক বাইকচালক ছিটকে
পড়ে যান। হেলমেট না থাকায়
মাথায় চোট লাগে তাঁর। উদ্ধারের পরে প্রথমে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে এবং পরে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন তাঁর পরিজনেরা। আপাতত সেখানেই সঞ্জয়বাবু চিকিৎসাধীন রয়েছেন।