প্রতীকী ছবি।
যাতায়াতের রাস্তা বেশ অনেক দিন ধরে জলমগ্ন। নোংরা জল জমে থাকায় এলাকায় প্রকোপ বাড়ছে মশাবাহিত ও পেটের রোগের। বেহালা সরশুনার নস্করপাড়া এক নম্বর বাইলেনের এ হেন দুর্দশার প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যায় মিছিল বার করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলর নীহার ভক্তের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে চার জনকে গ্রেফতার করেছে সরশুনা থানার পুলিশ।
কলকাতা পুরসভার ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তভুর্ক্ত নস্করপাড়া এক নম্বর বাইলেনের রাস্তা, পানীয় জল এবং নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর। তাঁদের অভিযোগ, অল্প বৃষ্টিতেই ওই রাস্তায় জল জমে যায়। তা সহজে নামে না। নিকাশির জল রাস্তায় উপচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে বৃষ্টিতে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো যায় না। নেংরা জল জমে থাকার ফলে মশাবাহিত রোগ, পেটের অসুখ, চর্মরোগ বাড়ছে। কাউন্সিলরকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি।’’
এরই প্রতিবাদে রবিবার মিছিলে শামিল হয়েছিলেন এলাকাবাসী। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন পাড়ার মহিলা ও প্রবীণ নাগরিকেরা। অভিযোগ, মিছিল স্থানীয় একটি মন্দির অতিক্রম করতেই কাউন্সিলর নীহারবাবুর অনুগামীরা হামলা চালায়। রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের হলে সুরজিৎ চক্রবর্তী, সুকান্ত হালদার, দীপক হালদার এবং প্রসেনজিৎ নস্কর নামে চার জনকে ধরে পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁরা জামিন পান।
ঘটনার কথা স্বীকার করে নীহারবাবু সোমবার বলেন, ‘‘নস্করপাড়া এক নম্বর বাইলেনের একাংশে অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। একাধিক বার বিষয়টি বরো চেয়ারম্যান ও মেয়রকে জানিয়েছি। কোনও কাজ হয়নি।’’ কিন্তু মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের উপরে হামলা কেন? কাউন্সিলরের অভিযোগ, ‘‘ওঁরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে কটূক্তি করছিলেন।’’
স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান মানিকলাল চট্টোপাধ্যায় অবশ্য আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘‘নস্করপাড়া এক নম্বর বাইলেনের নিকাশি সংস্কারের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।’’