আলিপুর জাজেস কোর্টে হাজিরা দিয়ে বেরোনোর পথে শোভন চট্টোপাধ্যায়। পিছনে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
তখনও বিচারক এজলাসে পৌঁছননি। তার আগেই বৃহস্পতিবার সকালে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আদালতে হাজির হন প্রাক্তন মেয়র-মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বিচারকের ঘরে সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা। যদিও পুলিশের তরফে দু’জনের জন্যই চেয়ার দেওয়া হয়েছিল তাঁদের ঘিরে ছিলেন চার জন ব্যক্তিগত রক্ষী।
বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় এ দিন আলিপুর আদালতের ষষ্ঠ বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তীর এজলাসে শোভনবাবুর বক্তব্য পেশ নিয়ে শুনানি ছিল। সকাল ১০টা নাগাদ আদালতে হাজির হন শোভনবাবুরা। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন প্রায় এক ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার আদালতে শুনানি চলে। শোভনবাবুর পরিবার সম্বন্ধে প্রশ্নোত্তর হয়েছে। শুনানির সময়েও আদালত কক্ষের বাইরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন বৈশাখী।
বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে শোভনবাবুর মামলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ দিন আদালত থেকে বেরিয়ে শোভনবাবু সাংবাদিকদের জানান, মামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাহবিচ্ছেদের মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ ডিসেম্বর। শোভনবাবুর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরপর শুনানির দিন ধার্য করা হচ্ছে। আমাদের প্রস্তুতির সময় থাকছে না। ওই বিষয়ে আমরা বিচারকের কাছে আবেদন জানাব। প্রয়োজনে মামলাও করা হবে।’
ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।
আরও পড়ুন: শোভনদার জীবন গুছিয়ে দিয়েছি আমি: বৈশাখী
আরও পড়ুন: বৈশাখীর অপমানই বড় ‘যন্ত্রণা’ শোভনের
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করাবাংলা খবরপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)