ছারখার: শরাফ ভবনের পোড়া অংশ। শুক্রবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
বিদ্যুতের তার অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার ফলেই আগুন লেগেছিল শরাফ ভবনে। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল ঘুরে নমুনা সংগ্রহের পরে এমনটাই মনে করছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। তবে ওই ভবনের কোথায় প্রথমে আগুন লেগেছিল, তা নিয়ে তাঁরা কিছু জানাননি। এ দিকে, বুধবারের ওই অগ্নিকাণ্ড এবং তাতে শ্যামসুন্দর সাহা নামে এক জনের মৃত্যুর ঘটনায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে দমকল। তার ভিত্তিতে ওই বহুতলের মালিকদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি, এই অগ্নিকাণ্ড এবং মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস শুক্রবার রাজ্য সরকারকে ওই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের গাফিলতি খতিয়ে দেখে দোষীদের খুঁজে বার করতে বলেছেন। একই সঙ্গে কোনও দুর্ঘটনাই নিছক নয়, জানিয়ে বিপত্তি এড়াতে অগ্নিকাণ্ডের আগে এবং পরে করণীয় নিয়ে নির্দেশিকাও জারি করেছেন তিনি।
লালবাজার সূত্রের খবর, এই ঘটনায় শরাফ ভবনের কয়েক জন প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই বহুতলের অগ্নি-নির্বাপণ লাইসেন্স ছিল কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার নমুনা সংগ্রহের পরে বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, ওই তলার পোড়া বিদ্যুতের তারগুলি দেখে মনে করা হচ্ছে, আচমকা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলেই আগুন লাগে।
প্রথমে আগুনে কেউ আটকে পড়েননি বলে জানানো হলেও বৃহস্পতিবার একটি সংস্থার তরফে জানানো হয়, তাঁদের কর্মী শ্যামসুন্দর নিখোঁজ। শেষে সার্ভার রুমে তাঁর দেহ মেলে। পুলিশের ধারণা, সার্ভার রুমে এসি থাকায় সেখানে ছিলেন শ্যামসুন্দর। কিন্তু দরজা বন্ধ থাকায় তিনি আগুনের আঁচ বুঝতে পারেননি।