আতঙ্ক: হেলে যাওয়া বাড়ি। শুক্রবার, নিউ টাউনে। — নিজস্ব চিত্র।
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বাড়ি ধসে পড়ার পরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে নিউ টাউনেও।
বহু বছর ধরেই সেখানকার বিভিন্ন ব্লকে হেলে পড়েছে চার-পাঁচতলা আবাসিক বাড়ি। লোকজন বসবাসও করছেন সে সব বাড়িতে। গার্ডেনরিচের ঘটনার পরে ওই সব বাড়ির আবাসিকেরা আতঙ্কিত। যদিও ‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র (এনকেডিএ) দাবি, ওই সব বাড়ি হেলে থাকলেও গার্ডেনরিচের মতো দুর্ঘটনার আশঙ্কা কম। বিরাট কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সেখানকার বাসিন্দাদের আপাতত আশঙ্কার কোনও কারণ নেই বলেই মনে করছে এনকেডিএ।
উল্লেখ্য, ওই সব বাড়ি গ্যারাজ-সহ চারতলা। মূলত কোঅপারেটিভ করে বাড়িগুলি তৈরি করা হয়েছিল। নিউ টাউনের সিএ, সিডি কিংবা ডিবি-র মতো ব্লকগুলিতে এই ধরনের আবাসিক বাড়ি এক সময়ে সিন্ডিকেটের সরবরাহ করা নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। কারণ, সিন্ডিকেটের থাবা এড়িয়ে বাড়ি তৈরি করা সেই সময়ে প্রোমোটারদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। বাড়ি তৈরির শুরুতেই কোনও ত্রুটি, অর্থাৎ, পাইলিং কিংবা কাঠামো তৈরিতে গলদ থাকায় ওই সব নির্মাণ হেলে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এনকেডিএ-র দাবি, নিউ টাউন কিংবা সল্টলেক জলাজমি ভরাট করে হয়েছে। ফলে, সেখানে মাটি কম পোক্ত। যে কারণে ভিত খোঁড়া কিংবা মাটি ভরাটে কোনও সমস্যা হলে বাড়ি হেলে পড়তে পারে। যদিও এনকেডিএ-র আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, ওই সব আবাসনে বসবাসের জন্য এনকেডিএ-র ছাড়পত্র প্রয়োজন। সেই ছাড়পত্র তখনই মেলে, যখন নির্দিষ্ট বাড়িটিকে যাদবপুর, আইআইটি বা শিবপুর আইআইইএসটি-র তরফে দেওয়া ‘নিরাপদ’ শংসাপত্র আবাসিকেরা দেখান। তাই বাড়িগুলি নিয়ে এখনই দুশ্চিন্তার কারণ দেখছে না এনকেডিএ।
আবাসিকদের সংস্থা ‘নিউ টাউন সিটিজ়েন্স ওয়েলফেয়ার ফ্রেটারনিটি’র সাধারণ সম্পাদক সমীর গুপ্ত বলেন, ‘‘বাড়িগুলি তৈরির এক-দু’বছরের মধ্যেই হেলে পড়ে। এনকেডিএ-কে জানিয়েছি। সম্ভবত পাইলিংয়ে ত্রুটির কারণেই এটা হয়েছে।’’