আলিপুর চিড়িয়াখানা। ফাইল ছবি।
দিঘার সৈকত থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানা— বর্ষবরণে পর্যটনস্থলগুলোয় এ বারও দেখা গিয়েছে থিকথিকে ভিড়। এই ঘোর করোনা আবহে কোথাওই ছিল না দূরত্ববিধি মানার কোনও বালাই। কোথাও মাস্কের দেখা মেলেনি, আবার কোথাও পুলিশ দেখে মাস্ক খুঁজতে হুলুস্থুল। এই খণ্ডচিত্রই উসকে দিচ্ছে এক অমোঘ আশঙ্কা, সংক্রমণের এভারেস্টের দিকেই কি ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুট লাগিয়েছি আমরা!
২১কে টপকে গেল ২২। একুশ সালের পয়লা জানুয়ারি আলিপুর চিড়িয়াখানায় পা পড়েছিল ৫১ হাজার মানুষের। মাস পয়লা বলছে, সেই রেকর্ড গুঁড়িয়ে গিয়েছে। এ বছরের প্রথম দিন চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গেলেন ৫৩ হাজার মানুষ। ঘটনাচক্রে, একই দিনে সাম্প্রতিক অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে কলকাতা শহরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২,৩৯৮ জন মানুষ।
গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
২০২১-এর পয়লা জানুয়ারি চিড়িয়াখানায় ভিড় জমিয়েছিলেন ৫১ হাজার মানুষ। ঠিক ৩৬৫ দিন পর, ২০২২-এ সেই হিসেব ছাপিয়ে পশু-পাখি দেখতে জমায়েত হলেন ৫৩ হাজার মানুষ। তার ঠিক ৫ দিন আগে, একুশের ২৬ ডিসেম্বর আলিপুর চিড়িয়াখানায় পা পড়েছিল ৭০ হাজার মানুষের।
শুধু চিড়িয়াখানাই নয়, শহরের অন্য পর্যটক-আকর্ষণের জায়গাও ছিল ভিড়ে ভিড়াক্কার। বর্ষবরণের দিন সায়েন্স সিটিতে গিয়েছেন ২০ হাজার মানুষ। ভারতীয় জাদুঘরে পা পড়েছে ৬ হাজার মানুষের। আর সর্বাধিক জনসমাগম হয়েছিল নিউটাউনের ইকো পার্কে। সেখানে মাস পয়লায় হাজির হয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৯৭৫ জন।
বড়দিন বা বর্ষবরণ— শহরে পর্যটন-আকর্ষণস্থলগুলোতে ভিড় নতুন কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু যখন করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে, তখন কি জমায়েত এড়ানো যেত না? একটি অংশের যুক্ত, ভিড়ের কথা ভেবে কেন আগেভাগেই এই জায়গাগুলো বন্ধ রাখা হল না? আবার অন্য একটি অংশ মনে করছে, পর্যটন স্থল বন্ধ করে কি আদৌ মেলামেশা কমানো সম্ভব, যদি না মানুষ সচেতন হন?