Coronavirus

একাকী প্রবীণদের বাড়িতেও খাবার, ওষুধ পৌঁছবে পুরসভা

প্রসঙ্গত, একা থাকা অনেক প্রবীণ নাগরিক করোনা সংক্রমণের জেরে বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। পুরসভা জানিয়েছে, মূলত তাঁদের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২০ ০২:০০
Share:

প্রতীকী ছবি

লকডাউনের প্রথম পর্বে বাসিন্দাদের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছিল হাওড়া পুরসভা। এ বার তার থেকে এক ধাপ এগিয়ে কাজ শুরু করল তারা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়রান্টিনে থাকা পরিবারের পাশাপাশি একাকী বৃদ্ধ–বৃদ্ধাদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে খাবার এবং ওষুধ। এর জন্য একটি কলসেন্টার খোলা হয়েছে। সেখানে ফোন করলেই খাবার ও ওষুধ পৌঁছে যাবে। আগে শহরের কয়েকটি সংক্রমিত ওয়ার্ডে এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল। এ বার পুরসভার ৬৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪০টিতে তা পাওয়া যাবে। লকডাউনের দিন এবং অন্য দিনেও এই পরিষেবা মিলবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, একা থাকা অনেক প্রবীণ নাগরিক করোনা সংক্রমণের জেরে বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। পুরসভা জানিয়েছে, মূলত তাঁদের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ। ১৮০০-১২১-৫০০০০০, ০৩৩-২৬৪১-০২২০-সহ কলসেন্টারের আরও কয়েকটি নম্বর দেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে ফোন করে মুদিখানার জিনিস এবং ওষুধের অর্ডার দেওয়া যাবে এখানে। ওষুধের জন্য ফোনের পাশাপাশি ৬২৯২২৩২৮৬৭ নম্বরে ওষুধের নাম লিখে হোয়াটসঅ্যাপও করা যেতে পারে। হাওড়া পুরসভার ফেসবুক পেজে এই নম্বরগুলি দেওয়া হয়েছে। ফোনে অর্ডার নিয়ে দুপুর একটা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে পুরকর্মীরা বাড়িতে জিনিস পৌঁছে দেবেন। সপ্তাহের সাত দিনই এই ব্যবস্থা চালু থাকবে।

হাওড়া পুরসভার এক কর্তা জানান, এত দিন লকডাউনের দিনগুলিতেই মুদিখানার জিনিস ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল। এখন থেকে ‘আনলকের’ দিনেও এটি চালু থাকবে। আপাতত ৪০টি ওয়ার্ডে চালু হলেও পরবর্তী ধাপে শহরের সব ওয়ার্ডকেই এই হোম ডেলিভারির আওতায় আনা হচ্ছে। ওই কর্তা বলেন, ‘‘শুধু হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তি বা পরিবারই নন, অনেক বৃদ্ধ–বৃদ্ধাও বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। তাঁদের কাছেও দৈনন্দিন খাবার-ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হবে।’’

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতিটি ওয়ার্ডে ২-৩ জন করে পুরকর্মী জিনিস পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবেন। আপাতত ১৫০ জন পুরকর্মী এই কাজে নিযুক্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই কয়েকটি ওয়ার্ডে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে। তবে এক বারে কতটা জিনিসের অর্ডার দেওয়া যাবে, তা এখনই নির্দিষ্ট করা হয়নি। কিছু দিন এই ব্যবস্থা চালু থাকার পরে যদি দেখা যায় খাবার এবং ওষুধের পরিমাণ সরবরাহ করা সাধ্যাতীত হয়ে যাচ্ছে, তখনই অর্ডারের পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হবে। তবে পুরসভার পরামর্শ, কোনও ব্যক্তি রোজ অল্প অল্প করে অর্ডার না-দিয়ে তিন দিন অন্তর একটু বেশি করে অর্ডার দিলে সকলের কাছেই এই পরিষেবা পৌঁছনো সম্ভব হবে। আপাতত প্রতিদিন ১৫০টি করে অর্ডার নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement