প্রতীকী ছবি।
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি প্রাথমিক স্কুলে মিড-ডে মিল পরিবেশনের আগে শিশুদের জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে লোকক্রীড়া চালু করতে হবে। মঙ্গলবার হাওড়ায় জেলাশাসকের দফতরে জেলার স্কুল পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। চলতি মাসের গোড়ার দিকে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে লোকক্রীড়াকে বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পর্ষদ।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির নির্দেশ, নতুন রুটিন অনুযায়ী সমস্ত স্কুলে প্রথম তিন পিরিয়ডে বাংলা, অঙ্ক বা বিজ্ঞান ও ইংরেজি থাকবে। তার পরেই ৮০ মিনিটের বিরতি। ওই সময়ে পড়ুয়ারা খেলাধুলো, খাওয়াদাওয়া ও বিশ্রাম করবে। শেষ তিন পিরিয়ডে থাকবে ভূগোল, ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞান।
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, দাড়িয়াবান্ধা, চু-কিতকিত, বৌ কথা কও, বিস্কুট দৌড়, চোর-পুলিশ, কুমিরডাঙার মতো প্রচলিত পুরনো লোকক্রীড়া শেখানো হবে শিশুদের। প্রশ্ন উঠেছে, অনেক স্কুলেই খেলার মাঠ নেই। ঘিঞ্জি পরিবেশ। সেখানে পড়ুয়ারা খেলবে কী করে? মানিকবাবু বলেন, ‘‘এই সব খেলার জন্য স্কুলে একটা উঠোন থাকলেই চলবে। মাঠের দরকার নেই। স্কুল যে একটা আনন্দেরও জায়গা, সেটা বোঝানোর জন্য এই খেলাগুলো রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এই সমস্ত খেলার মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক সক্ষমতাও বাড়বে।’’
এ দিন হাওড়ায় এসে মানিকবাবু জানান, ইতিমধ্যেই তিনি ১২টি জেলায় ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে এসেছেন। বাকি জেলাগুলিকেও জানানো হচ্ছে। হাওড়ার স্কুল পরিদর্শকদের তিনি নির্দেশ দেন, আগামী ২৬ ও ২৭ তারিখ হাওড়ার সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের এই নতুন রুটিন সম্পর্কে জানিয়ে দিতে হবে। প্রধান শিক্ষকেরা এর পরে বিষয়টি স্কুলে গিয়ে বাকি শিক্ষকদের জানাবেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী মাস থেকেই হাওড়ার ২০৫৮টি প্রাথমিক স্কুলের দু’লক্ষ ৩৪ হাজার পড়ুয়ার জন্য এই নতুন রুটিন চালু হবে।