কলকাতা বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড়। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে বারো ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল কলকাতা বিমানবন্দরের পরিষেবা। তাতে সমস্যায় পড়েছেন বহু যাত্রী। কেউ পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে চিকিৎসা করাতে যেতে পারেননি, কেউ বা নির্দিষ্ট দিনে চাকরিতে যোগদানের সুযোগ হারিয়েছেন।
বিমানবন্দরের খবর, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় উড়ান বন্ধ হয়েছে। কাঠমান্ডু থেকে কলকাতামুখী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান সন্ধ্যা ৬টা ৩৯ মিনিটে অবতরণ করে। সেটিই শেষ অবতরণ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আজ, রবিবার সকাল ৬টার পরে ফের বিমান পরিষেবা চালু হতে পারে। তবে আজ, সব ক’টি বিমানসংস্থার পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী উড়ান রয়েছে। তাই আটকে পড়া যাত্রীদের কী ভাবে গন্তব্যে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিমানসংস্থাগুলির। কলকাতা
থেকে উড়ান বাতিল হওয়ার প্রভাব বাকি বিমানবন্দরগুলিতেও পড়বে বলে খবর।
বিমানবন্দরের খবর, বিকেল ৩টে নাগাদ দিল্লি থেকে বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ মেলে। কলকাতা বিমানবন্দরের আবহাওয়া দফতরের প্রধান গোকুলচন্দ্র দেবনাথ সন্ধ্যায় জানান, বুলবুলের প্রভাবে বায়ুর গতিবেগ বাড়বে। তার উপরে কলকাতা ও আশপাশে বায়ুমণ্ডলের নীচের ও উপরের স্তরের মধ্যে বায়ুপ্রবাহের অভিমুখের বৈচিত্র (ক্রস উইন্ড) রয়েছে।বিমান চলাচলের উপরে তা বিপজ্জনক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিকেলে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় পৌঁছেছিলেন কাজী মহম্মদ নাজিমুদ্দিন। চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়। চাকরিতে যোগ দিতে বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা ছিল ঋত্বিক দিওয়ানের। উড়ান বাতিলের খবর সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জানিয়েছেন তিনি। সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার যোগ দিতে না পারলে পরবর্তী ব্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে তাঁকে। বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য ১৫টি অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করেছে পরিবহণ দফতর। বৃষ্টির জেরে এ দিন বিমানবন্দরে ট্যাক্সি কার্যত ছিল না। যে ক’টি গাড়ি ছিল তারা প্রচুর ভাড়াও হেঁকেছে বলে অভিযোগ।