প্রতীকী ছবf
‘দাদা, এই সপ্তাহে আর কবে লকডাউন, জানতে পারলেন?’
কলকাতার এক ট্র্যাভেল এজেন্টকে ফোন করতে পাল্টা ছিটকে এল প্রশ্নটা। কারণ হিসেবে ওই এজেন্ট জানালেন, লকডাউনের দিন আগাম জানতে পারলে উড়ানের টিকিট বিক্রি করতে সুবিধা হয়।
চলতি সপ্তাহে রাজ্যে আবার লকডাউন কাল, বুধবার। রাজ্য সরকারের অনুরোধ মেনে কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, সাপ্তাহিক লকডাউনের দিনগুলিতে বন্ধ থাকবে যাত্রী উড়ান। আর এতেই ফাঁপরে পড়েছেন ট্র্যাভেল এজেন্টরা।
তাঁদের একাংশ জানিয়েছেন, অগস্ট থেকে টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। ট্র্যাভেল এজেন্টস ফেডারেশনের পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান অনিল পঞ্জাবি বলেন, ‘‘কবে লকডাউন হবে, সেটা আগাম জানতে না-পারলে টিকিট বিক্রি কী করে করব? যাঁরা টিকিট কাটতে আসছেন, তাঁরা জানতে চাইছেন যাত্রার দিন লকডাউন হবে কি না। টিকিট কেটে আবার বাতিল করতে হলে টাকা ফেরত পাচ্ছেন না যাত্রীরা।’’
সাধারণত একটি উড়ানে প্রায় ৭০ শতাংশ টিকিট এজেন্ট মারফত ও বাকি টিকিট সরাসরি উড়ান সংস্থা বা পর্যটনের অন্য ওয়েবসাইট থেকে বিক্রি হয়। এজেন্টদের যুক্তি, কখন কোন উড়ান বাতিল হচ্ছে, যাত্রীরা আগে থেকে জানতে পারছেন না। ফলে তাঁরা এজেন্টদের উপরে আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন।
এজেন্টদের অভিযোগ, উড়ান বাতিল হলে কী করে টাকা ফেরত পাবেন বা যাত্রীর টাকা উড়ান সংস্থার ঘরে জমা থাকার নথি কী হবে, সে সব জানতে সংস্থার কলসেন্টারে ফোন করেও সাড়া মিলছে না। উড়ান সংস্থা জানিয়েছে, এখনকার টিকিটে যে পিএনআর রয়েছে, এক বছরের মধ্যে সেই পিএনআর ব্যবহার করেই ওই টিকিটের টাকা কাজে লাগানো যাবে। এজেন্টদের যুক্তি, এই কারণেই বহু মানুষ এখন তাঁদের উপরে ভরসা করে টিকিট কাটছেন। যাতে এমন সমস্যা হলে তাঁরা তাঁদের ধরতে পারেন।
তবে এজেন্টদেরই অন্য একটি অংশ মনে করছে, খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ এখন যাত্রা করছেন না। ট্র্যাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব ভারতের সম্পাদক অঞ্জলি ধানুকার কথায়, ‘‘এমনিতে কলকাতা থেকে ছ’টি শহরের সরাসরি উড়ান বন্ধ। ফলে যাত্রী খুব কম। খুব প্রয়োজন ছাড়া অন্য শহর ঘুরে কেউ দিল্লি-মুম্বই যাতায়াত করছেন না। বাকি শহরগুলিতেও উড়ান চলছে নামমাত্র। ফলে লকডাউন হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলের স্বার্থে এটুকু সমস্যা মেনে নিতেই হবে।’’