Narendrapur Crime Child Abuse

নরেন্দ্রপুরে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন, সাত দিন পর উদ্ধার দেহ

প্রাথমিক তদন্ত করতে গিয়েই পুলিশ সন্দেহ হয় ওই শিশুর এক প্রতিবেশী আসগর নামে এক যুবককে। লরির খালাসি আসগর ওই শিশু কন্যা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা। তদন্তকারীরা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর হদিশ পান যাঁরা ১৫ জুলাই বিকেলে আসগরের সঙ্গেই ওই শিশুকে দেখেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ১৮:৪৩
Share:

মুখে কালো কাপড় ঢাকা ধর্ষণে অভিযুক্ত আসগর। বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে রবিবার। নিজস্ব চিত্র

পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন। ঘটনার সাত দিন পর হদিশ মিলল শিশুর দেহের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ শহরতলির নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়।

Advertisement

গত ১৫ জুলাই থেকে নিঁখোজ ছিল শিশুটি। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদার বাসিন্দা দম্পতি গোটা রাত মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে অভিযোগ জানান পুলিশের কাছে। প্রাথমিক তদন্ত করতে গিয়েই পুলিশ সন্দেহ হয় ওই শিশুর এক প্রতিবেশী আসগর নামে এক যুবককে। লরির খালাসি আসগর ওই শিশু কন্যা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা। তদন্তকারীরা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর হদিশ পান যাঁরা ১৫ জুলাই বিকেলে আসগরের সঙ্গেই ওই শিশুকে দেখেছিলেন।

আসগর এবং নিখোঁজ শিশুর হদিশ করতে কুকুর এবং ড্রোনের সাহায্যও নেয় পুলিশ। কিন্তু তার পরও কোনও হদিশ মেলে নি দু’জনের কারও।

Advertisement

প্রায় এক সপ্তাহ পরে, শনিবার গভীর রাতে পুলিশ আসগরকে পাকড়াও করে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর থেকে। তাকে জেরা করেই জানা যায়, পেয়ারার লোভ দেখিয়ে ওই শিশুকে বাড়ির পিছনে একটি জঙ্গলে ঢাকা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল আসগর। সেখানে ওই শিশুর উপর অত্যাচার চালিয়ে গলা টিপে খুন করে। তারপর সেখানেই জঙ্গলের মধ্যে শিশুর দেহটি লুকিয়ে রাখে।

আসগরকে জেরা করে রবিবার ভোররাতে ওই শিশুকন্যার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, আসগর এর আগেও অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হয়েছিল। সেই সময় দীর্ঘদিন জেলেও ছিল আসগর। অভিযুক্ত আসগর মোবাইল ব্যবহার করে না। সে বেপাত্তা হয়ে যাওয়ার পর নরেন্দ্রপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিক বলরাম মণ্ডল আসগরের বিভিন্ন আড্ডাতে হানা দিয়ে জানতে পারে, আসগরের প্ল্যাটফর্মে রাত কাটানোর স্বভাব আছে। সেই অনুযায়ী পুলিশ প্রতি রাতে শিয়ালদহ শাখার এবং হাওড়া শাখার বিভিন্ন স্টেশনে তল্লাশি করে।

ওই সূত্র ধরেই তল্লাশি করতে গিয়ে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার প্ল্যাটফর্মে হদিশ মেলে আসগরের। জেলা পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খান বলেন,‘‘ জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করেছে, শিশুটিকে হত্যা করার পরও সে সোনারপুর, পার্ক সার্কাসের মত বিভিন্ন স্টেশনে রাত কাটিয়েছে।” পুলিশ মৃত শিশুর দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। সংগ্রহ করা হচ্ছে ডিএনএ-র নমুনাও।

আরও পড়ুন: মেয়রের নির্দেশের পরেও ফুটপাত দখলেই

আরও পড়ুন: সমাবেশে যোগ দিতে এসেই চিড়িয়াখানা দেখতে ছুট

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement