প্রতীকী চিত্র।
বিচারকের সামনেই বচসায় জড়িয়ে পড়লেন দুই সরকারি আইনজীবী। ঘটনাকে ঘিরে পাঁচ সরকারি আইনজীবীকে সাময়িক ‘অব্যাহতি’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন আলিপুরের অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী।
আলিপুর দায়রা আদালত সূত্রে খবর, খুনের চেষ্টার মামলায় জামিনের আবেদন নাকচ করার আর্জি না জানানোকে কেন্দ্র করে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই দুই সরকারি আইনজীবী। আইনজীবীদের একাংশ জানান, বুধবার আলিপুর জেলা বিচারকের এজলাসে একটি খুনের চেষ্টার একটি ঘটনায় জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। তখন সরকারি আইনজীবী শ্যাম যাদব অন্য এক সরকারি আইনজীবী অরিন্দম দাসকে ওই আবেদন নাকচ করার আর্জি জানাতে বলেন। কিন্তু অরিন্দমবাবু ওই জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেননি। তাতে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। এর পরে বিচারকের সামনেই আর্থিক লেনদেনের কারণে ওই জামিনের বিরোধিতা করা হয়নি দাবি করে শ্যামবাবু অরিন্দমবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন। তার জেরে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। ওই ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা বিচারক সুজয় সেনগুপ্ত।
জেলা বিচারকের এজলাসে মুখ্য আইনজীবী ও অতিরিক্ত আইনজীবী ছাড়া আর পাঁচ জন সরকারি আইনজীবী রয়েছেন। তাঁরা মূলত জামিনের আর্জির মামলার শুনানি করেন। বুধবারের ঘটনার পরে ওই পাঁচ জন আইনজীবীকেই ‘সাময়িক অব্যাহতি’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই পাঁচ জনের পরিবর্তে তিন নতুন সরকারি আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে আলিপুর দায়রা আদালত সূত্রের খবর।