—প্রতীকী ছবি।
পনেরো বছর বয়সের জটে পড়ে চলতি বছরে বাতিল হতে পারে বহু বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস। একেই বেসরকারি গণপরিবহণের রুগ্ণ আর্থিক দশা নিয়ে চিন্তিত বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠন। তার উপরে এই জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে বাস বাতিল করার সময়সীমা দু’বছর পর্যন্ত বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার পরিবহণ দফতরের দ্বারস্থ হল পাঁচটি বেসরকারি বাসমালিক সংগঠন। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট্স, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি এবং ইন্টার-ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস সার্ভিসের তরফে পরিবহণ ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল।
পাঁচ সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, অতিমারি-পর্বে প্রায় দু’বছর বাস চলেনি। সেই সময়ে বাসমালিকদের আবেদনের ভিত্তিতে বাসের দুর্ঘটনা বিমার প্রিমিয়াম এবং পথ করে ছাড় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সে কথা মাথায় রেখে বাস বাতিল করার সময়সীমার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে তার মেয়াদ দু’বছর বাড়ানো হোক।
সংগঠনগুলির দাবি, ওই সুবিধা পাওয়া গেলে বাসমালিকেরা ধাপে ধাপে নতুন বাস কেনার এবং নতুন পারমিট সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
সংগঠনগুলির নেতৃত্বের অভিযোগ, নতুন বাসের মূল্য যেমন অনেক বেড়েছে, তেমনই বাস কেনার জন্য ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক সংস্থাগুলি ঋণের শর্ত আগের চেয়ে অনেক কঠোর করেছে। এই অবস্থায় আচমকা রাস্তায় বাস কমে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বাস বাতিল করার নীতিতে কিছুটা ছাড় দেওয়া হোক।
ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘বাস্তব সমস্যার জায়গা থেকেই আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছি।’’ সমস্যার সমাধান না হলে মার্চ মাসের ১৮, ১৯ এবং ২০ তারিখ ওই পাঁচ সংগঠন পরিষেবা বন্ধ রাখার পথে যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পরিবহণ দফতরের খবর, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিলের বিষয়টি জাতীয় পরিবেশ আদালতের সিদ্ধান্ত। তা বদলানোর ক্ষমতা সরকারের নেই। এ নিয়ে আইনি লড়াই করতে হলে ওই আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে। বাস সংগঠনগুলি আইনি লড়াইয়ের পথে গেলেও বিশেষ এগোতে পারেনি। ফলে, চলতি বছরে একাধিক রুটে বাস উধাও হওয়ায় আশঙ্কা করছেন তাঁরা।