প্রতীকী ছবি
ছয় বন্ধু মিলে গঙ্গায় স্নান করতে নেমেছিল। কিন্তু সাঁতার না জানায় ছ'জনই তলিয়ে যাচ্ছিল। স্থানীয় লোকজন জলে ঝাঁপ দিয়ে পাঁচ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও এক জন তলিয়ে যায়। সোমবার সকালে ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়েছে উত্তর বন্দর থানার বাবুঘাট এলাকা থেকে।
পুলিশ মৃত কিশোরের পরিবারের কাছ থেকে জানতে পেরেছে, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ রাজাবাজার নারকেলবাগান থেকে বছর আঠারোর আসগর আলি মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোয়। সঙ্গে আরও পাঁচ বন্ধু ছিল। সকলে দুপুর পর্যন্ত নিজেদের বাড়ির কাছাকাছিই ছিল। পরে সকলে মিলে মোটরবাইকে চেপে নিমতলা এলাকার ভূতনাথ মন্দিরের কাছে পৌঁছয়। সেখানে খাওয়াদাওয়া সেরে আসগরেরা গঙ্গায় স্নান করবে বলে ঠিক করে। সেই মতো বিকেল ৪টে নাগাদ ছ’জন মিলে গঙ্গায় নামে। কিন্তু সাঁতার না জানায় স্রোতের টানে ছ’জনই ডুবে যাচ্ছিল। তাদের ডুবতে দেখে পাড়ে থাকা স্থানীয়েরা গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। পাঁচ জনকে জল থেকে উদ্ধার করা গেলেও আসগর তলিয়ে যায়। উদ্ধারকারীরা তার হাত ধরেও ফেলেছিলেন। কিন্তু জলের টানে তার হাত ছেড়ে যায় এবং আসগর ডুবে যায়।
পুলিশ জানায়, এর পরে অনেক চেষ্টা করেও আসগরের খোঁজ মেলেনি। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ বাবুঘাটের কাছে একটি দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়েরা উত্তর বন্দর থানায় খবর দেন। পরে আসগরের বাড়ির লোকজন এসে দেহ শনাক্ত করেন।
আসগরের দাদা, মহম্মদ আকবর সোমবার ফোনে জানান, বাড়িতে কিছু না জানিয়ে বেরিয়েছিল সবাই। কিন্তু ওরা যে গঙ্গায় স্নান করতে যাবে তা কেউ ভাবতে পারেননি। পুলিশ দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।