প্রতীকী ছবি।
কসবা থানার পি মজুমদার রোডে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে শুক্রবার রাতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকেন বাপি দেব নামে ওই তৃণমূল কর্মী। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার রাতে প্রথমে বাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা জানতে চায়, তাঁর বাড়ি কোথায়। এর পরে ১১টা নাগাদ পাঁচ-সাত জন এসে তাঁর নাম ধরে ডাকে। বাপি বেরোননি। তিনি বলেন, ‘‘এর পরে ১২টা নাগাদ আমার বাড়িতে ইট ও বিয়ারের বোতল ছোড়া হয়।’’ রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনিবার পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শনিবার বাপির বাড়ির সামনে ছিল পুলিশি প্রহরা। তাঁর অভিযোগ, হামলায় যুক্ত ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। বাপির দাবি, ‘‘এক সময়ে ওঁর ঘনিষ্ঠ ছিলাম। ঠিকাদারি করার সূত্রে সুশান্তবাবুর সঙ্গে ঝামেলা। এখন ১০৭ নম্বরের কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার সঙ্গে রয়েছি। তাই এই হামলা।’’
অভিযোগ উড়িয়ে সুশান্ত বলেন, ‘‘ঘনিষ্ঠ নন, বাপি অন্য কর্মীদের মতোই এক জন ছিলেন। তোলাবাজি করায় ওঁকে সরিয়ে দিই। শুনেছি, উনি এক মহিলাকে কটূক্তি করেন। তাই হয়তো হামলা।’’ সুশান্তের দাবি, তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। বাপির নামে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। এক মহিলাও এ দিন থানায় বাপির বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগ করেন। বাপির প্রশ্ন, ‘‘আমি তোলাবাজ ও চরিত্রহীন হলে সুশান্ত সম্পর্ক রেখেছিলেন কেন?’’ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করে লিপিকা মান্না বলেন, ‘‘এই ঘটনায় পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’ এ দিকে, শুক্রবার রাতে কসবার একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে এক জনের মাথা ফাটানোর ঘটনায় চার জন গ্রেফতার হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।