প্রতীকী ছবি।
ছোট ভাইয়ের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হয়। সেই রাগে ট্রেনে চেপে বালিতে চলে এসেছিলেন বছর চব্বিশের তরুণী। এর পরে বালি সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিলে, তাঁকে উদ্ধার করে বাঁচান স্থানীয় এক মৎস্যজীবী। পরে পুলিশ তরুণীকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে বালি থানায় খবর যায় গঙ্গা থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করে পঞ্চাননতলার ঘাটে রাখা হয়েছে। মহিলা পুলিশকর্মী গিয়ে সেই তরুণীকে নিয়ে প্রথমে বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান। সেখান থেকে তাঁকে থানায় নিয়ে আসেন।
তরুণী পুলিশকে জানান, তাঁর বাড়ি হুগলির চণ্ডীতলায়। প্রায়ই বাড়িতে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর অশান্তি হয়। এমনকি তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। সেই রাগে এ দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি ডানকুনি থেকে ট্রেনে বালিঘাট স্টেশনে পৌঁছন। কিছু ক্ষণ ধরে সেতুতে ঘোরাঘুরি করে, আচমকা ঝাঁপ দেন।
পুলিশ জানায়, সেই সময়ে বালি সেতুর নীচেই পঞ্চাননতলাঘাটে নৌকা নিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মৎস্যজীবী শ্যামল পাড়ুই। প্রচণ্ড শব্দে জলে কিছু পড়তে তিনি হকচকিয়ে যান। শ্যামল বলেন, ‘‘দেখি এক তরুণী হাবুডুবু খাচ্ছেন। জলের টানে ভেসে যাচ্ছেন। তা দেখে নৌকো বেয়েই কিছুটা গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করি।’’ এ দিন শ্যামলবাবুর হাতে কিছু আর্থিক সাহায্য ও পুরস্কার তুলে দেন হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিকেরা।