ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যে মাছ চাষের উৎপাদন বাড়াতে এ বার স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে চায় মৎস্য দফতর। এ রাজ্যের ৩৪২টি ব্লকের প্রতিটিতে দশটি করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ বাড়ানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য মৎস্য দফতর।
দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের মৎস্য অধিকর্তা প্রতিটি জেলার আধিকারিককে লেখা বিজ্ঞপ্তিতে এই নয়া প্রকল্প সম্পর্কে জানিয়েছেন। তাতে রয়েছে, প্রকল্পে যোগদানের প্রস্তাব জমা দেবেন ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক। তিনিই জেলার মৎস্য আধিকারিককে তা জমা দেবেন।
নতুন এই প্রকল্পে কী আছে? এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, সেখানে মাছ চাষের সাতটি পরিকল্পনা রয়েছে। দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বহু খাল রয়েছে। সেখানে খাঁচা তৈরি করে চিংড়ি চাষ করা হবে। এ ছাড়াও ডিমপোনা থেকে চারাপোনা উৎপাদন, চারাপোনা থেকে বিক্রয়যোগ্য মাছ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে নতুন প্রকল্পে।
দফতরের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, দেশি প্রজাতির মাগুর, কই, শিঙির মতো জিয়ল মাছ এবং মৌরলা মাছের উৎপাদন যথেষ্ট কম। এদের উৎপাদন বাড়াতে নতুন হ্যাচারি তৈরি করা হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের বাসস্থান লাগোয়া হ্যাচারি করে মাছ চাষে উৎসাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাবদা মাছের চাষেও জোর দেওয়া হবে এই প্রকল্পে।
মাছের খাবার জোগাড় করতে এখনও পশ্চিমবঙ্গকে অন্য রাজ্যের দ্বারস্থ হতে হয়। এ প্রসঙ্গে দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “মাছের খাবার জোগান দিতে ছোট আয়তনের কারখানা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে প্রকল্পে। সব কিছুতেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের বেশি করে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে।”
রাজ্যের মৎস্য সচিব প্রভাত মিশ্র বলেন, “কিছু জেলা থেকে এখনও প্রকল্পে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট প্রস্তাব এসে পৌঁছয়নি। তবে নির্ধারিত সময়েই ব্লক ভিত্তিক মাছের চাষ শুরু হবে।”
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের কথায়, “এই নয়া প্রকল্প চালু হলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি তো হবেই। পাশাপাশি গ্রামের মানুষও কর্মক্ষম হবেন।”