snake bite

Snake Bite: সাপে কাটা রোগীর উপরে প্রথম খাওয়ার ট্যাবলেট প্রয়োগ হাসপাতালে

সাপে কাটা রোগীকে আট ঘণ্টার মধ্যে ‘এএসভি’ দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই সময়ের মধ্যে সেটি দিতে না পারায় রোগীর প্রাণসংশয় হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২২ ০৬:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রায় ন’মাস আগে এথিক্স কমিটির ছাড়পত্র মিলেছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষামূলক গবেষণায় সাপে কাটা রোগীর পরিজনের সম্মতি মেলা এবং কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষায় উতরে যাওয়ার দরকার ছিল। অবশেষে সোমবার মিলল তেমন রোগী। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর উপরে প্রথম বার পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হল মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট।

Advertisement

সাপে কাটা রোগীকে আট ঘণ্টার মধ্যে ‘এএসভি’ (অ্যান্টি স্নেক ভেনম) দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই সময়ের মধ্যে সেটি দিতে না পারায় রোগীর প্রাণসংশয় হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সাপে কাটা রোগীকে অবশ্যই ‘এএসভি’ দিতে হবে। কিন্তু যত ক্ষণ না সেটি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে, তত ক্ষণ ‘ভ্যারেসপ্লেডিব মিথাইল’ নামের ওই ট্যাবলেট খাওয়ালে কতটা ঝুঁকি এড়ানো যায়, সেটিই দেখা হবে গবেষণায়। পূর্বাঞ্চলে এর একমাত্র গবেষণা কেন্দ্র হল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

সোমবার গভীর রাতে ক্যানিং থেকে সেখানে নিয়ে আসা হয়েছিল বিষাক্ত সাপে কাটা ২০ বছরের এক যুবককে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তথা প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ওই যুবককে ‘এএসভি’ দেওয়ার পাশাপাশি ২৫০ মিলিগ্রামের দু’টি ট্যাবলেট একসঙ্গে খাওয়ানো হয়েছে। এর পরে পরপর সাত দিন রোজ দু’টি করে ট্যাবলেট দেওয়া হবে ওই রোগীকে। তিনি আরও জানান, ওই যুবকের পরিজনদের গবেষণার বিষয়ে বিশদ জানানোর পরে তাঁরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেওয়ায় সম্মতি দেন। এর পরেই দংশনের তীব্রতার মাত্রা বা ‘স্নেকবাইট সিভিয়রিটি (এসএস) পরীক্ষা-সহ আরও কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে ওই যুবককে গবেষণায় যুক্ত করা হয়েছে।

Advertisement

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এর পরে আগামী সাত দিন ধরে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ওই রোগীর বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করে যে সব তথ্য মিলবে, তার ফলাফল বিশ্লেষণ করা হবে। এমন ভাবেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসা সাপে কাটা অন্য রোগীদের তথ্যও একত্রিত করে গবেষণায় একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছনো হবে। রাজ্যে এই গবেষণার ফেসিলিটেটর স্নেহেন্দু কোনার বলেন, ‘‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল-সহ দেশের মোট চারটি হাসপাতালে ওই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হচ্ছে। এখানে এই প্রথম ওই ট্যাবলেটের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হল। এখনও পর্যন্ত ৪টি হাসপাতাল মিলিয়ে ১০ জনের উপরে ট্যাবলেটটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এখানকার আরও রোগীরা এগিয়ে এলে গবেষণায় অনেক সুবিধা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement