—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-সহ নতুন তিন ফৌজদারি আইন চালু হওয়ার পর প্রথম মামলা দায়ের হল কলকাতায়। সোমবার প্রতারণার অভিযোগে বাঁশদ্রোণি থানায় দায়ের হয়েছে সেই এফআইআর। ৩১৮ (৪) ধারায় ওই মামলাটি দায়ের করেছেন এক মহিলা। এই ৩১৮ ধারা আগে ছিল ৪২০, যা প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা হত। ওই মহিলার অভিযোগ, সরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিক সেজে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার প্রতারণা করেছেন এক ব্যক্তি।
পুলিশে কাছে করা অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, সরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিক সেজে এক ব্যক্তি ভুয়ো এফডি (স্থায়ী আমানত) শংসাপত্র তৈরি করেছিলেন। সেই ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়েই মহিলার কাছ থেকে দফায় দফায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নেন। তার পর আমানতের মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার সময় হলে তিনি ফেরার হয়ে যান। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৮ (৪)-সহ ৬১ (২)(এ), ২০৪, ৩১৬ (২), ৩৩৬ (৩), ৩৩৮, ৩৪০ (২) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
১৮৬০ সালে তৈরি হয় ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি)। তার পরিবর্তে সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’। পাশাপাশি, ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি বিধি)-এর পরিবর্তে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন)-এর বদলে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’— মোট এই তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন কার্যকর হয়েছে সোমবার থেকে। তবে নতুন আইনে কী কী অপরাধ এবং তার শাস্তি হিসাবে কী বলা হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দ এখনও কাটেনি। নতুন তিন আইনের বিরুদ্ধে একাধিক আপত্তি তুলে ধরেছে বিরোধী দলগুলিও। তার মধ্যেই নতুন ফৌজদারি আইনের আওতায় কলকাতায় দায়ের হয়েছে প্রথম এফআইআর।