ফিরহাদ হাকিম।
নাগরিকেরা যাতে তাঁদের অভিযোগ সরাসরি মেয়রকে জানাতে পারেন, তার জন্য কয়েক মাস আগে ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচি চালু করেছেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানে আসা অভিযোগের কতগুলির যথাযথ সমাধান হচ্ছে, এ বার অফিসারদের কাছে সেই হিসেব চাইলেন তিনি। মেয়র তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ হয়েছে কি না তা ফোন করে অভিযোগকারীর কাছ থেকে জানতে হবে। মাসখানেক আগে টক টু মেয়র-এ আসা এক অভিযোগের পরেও কাজ না হওয়ায় গত শনিবার ফের তা শোনানো হয় মেয়রকে। যা শুনেই ক্ষুব্ধ হন তিনি। অফিসারেরা কী কাজ করছেন, তার হিসেব রাখতে বলেন পুর কমিশনারকে।
সেই নির্দেশের পরেই মঙ্গলবার ডিজি এবং চিফ ম্যানেজারদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ। সেখানেই অফিসারদের তিনি জানিয়ে দেন, টক টু মেয়র-এ আসা সব অভিযোগের জরুরি ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে। দরকারে দফতরের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও ম্যানেজারেরা অভিযোগকারীর কাছে গিয়ে সমস্যা সমাধান করবেন। কোনও রকম দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে দায়বদ্ধ থাকবেন সংশ্লিষ্ট দফতরের ডিজি এবং চিফ ম্যানেজার।
সম্প্রতি টক টু মেয়র-এর একাধিক অনুষ্ঠানে সময়ে কাজ না-হওয়া নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে আবার কাজ শেষ না-হওয়া সত্ত্বেও মেয়রকে বলা হয়েছে, কাজ হয়ে গিয়েছে। ওই অভিযোগ নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠলে মেয়রের তরফ থেকে বলা হয়, কাজ তো হয়ে গিয়েছে। যা শুনে অভিযোগকারী পাল্টা বলেছেন, কাজ এখনও শেষ হয়নি। অনুষ্ঠানের মধ্যেই এমন শুনে বিরক্তি চেপে রাখেননি মেয়র। এ ছাড়া, বেআইনি নির্মাণের মতো অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর নাম গোপন রাখা নিয়েও অফিসারদের সতর্ক করেছেন ফিরহাদ। সম্প্রতি বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ করা এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছিলেন পুরসভার এক অফিসার। কোথায় বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে, ওই ব্যক্তিকে দেখাতে বলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ তুলে অভিযোগকারী বলেছেন, এমন হলে তাঁরা বেআইনি কারবারিদের রোষের মুখে পড়বেন।
এমনই নানা সমস্যার কথা শুনে পুর কমিশনারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন মেয়র। এ-ও বলা হয়েছে, যে দফতরের অধীনে ওই কাজ, সেই দফতরকেই তা করতে হবে এবং নিয়মিত রিপোর্ট পাঠাতে হবে। পুর কমিশনার জানান, সময়ে যাতে কাজ হয় তার জন্য প্রতিটি দফতরকে সতর্কও করা হয়েছে।