kolkata municipality

প্রথম পুর প্রশাসকের বৈঠক জুড়ে করোনা

বিচ্ছিন্ন ভাবে আক্রান্ত হওয়ার কারণ খুঁজতে স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় সমীক্ষা করছেন বলেও জানানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২০ ০৩:০৪
Share:

কলকাতা পুরসভা। ফাইল চিত্র।

কলকাতা পুরসভার বিশেষ দল বড়বাজার এলাকার ১০০ জনের থেকে লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল এসএসকেএমে। শনিবার আসা ওই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, সকলেরই নেগেটিভ। অথচ গত কয়েক দিনে বড়বাজারের বিভিন্ন এলাকায় করোনা সংক্রমণ চিন্তায় ফেলেছে পুর প্রশাসনকে। তা হলে এমন রিপোর্ট?

Advertisement

কলকাতা পুরসভার নবনিযুক্ত প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে শহরের পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন পুর ভবনে বৈঠক হয়। সেখানে এই প্রশ্ন ওঠে। বলা হয়, বড়বাজার এলাকায় বেশ কয়েক জন করোনা সংক্রমিত হলেও এখনও তা সমষ্টির মধ্যে ছড়ায়নি। এ দিনের বৈঠকে সেখানে প্রতিদিন আসা লরির চালক এবং কর্মীদের উপরে নজর রাখতে বলা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন ভাবে আক্রান্ত হওয়ার কারণ খুঁজতে স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় সমীক্ষা করছেন বলেও জানানো হয়।

চেয়ারম্যান জানান, কলকাতায় সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ছিল বেলগাছিয়া, নারকেলডাঙা বস্তি থেকে। সেখানে সংক্রমণ কিছুটা কম। তবে পুরসভার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে তপসিয়া এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে। ওই এলাকায় স্বাস্থ্য সমীক্ষায় জোর দেওয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহ থেকে বিশেষ দল সংক্রমিত এলাকায় রোগীর সংস্পর্শে আসা মানুষ এবং সংশ্লিষ্ট বাসিন্দাদের লালারস সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহের শেষ থেকে ছ’টি মোবাইল ভ্যান এলাকায় ঘুরে প্রতিদিন ৩০০ জনের লালারস এসএসকেএমে পাঠাবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: টালা থেকে নিখোঁজ মা-ছেলে উদ্ধার

মা-মেয়ের দেহ উদ্ধার, আটক ৪

বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বস্তিগুলিতে সচেতনতায় জোর দিতে বিভিন্ন ভাষায় প্রচার চালানো হবে। তথ্যচিত্র তৈরি করে তা প্রতিদিন সন্ধ্যায় বিভিন্ন পুর এলাকায় দেখানো হবে। বৈঠকে পুর অফিসারেরা জানান, কলকাতায় আক্রান্তের পরিবার ও প্রতিবেশীদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট খাওয়ানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৭৯১ জন আক্রান্তের পরিবার-সহ স্বাস্থ্য দফতরের যে কর্মীরা ওই সব এলাকায় পরিষেবা দিয়েছেন, তাঁদেরও ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের বদলে যাঁরা হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেতে চেয়েছেন, তাঁদের সেটাই দেওয়া হয়েছে। জঞ্জাল অপসারণ দফতরের ১৮ হাজার কর্মী ও সাত হাজার ঠিকা শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওই ট্যাবলেট খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ তাঁদের অনেকে সংক্রমিত এলাকায় কাজ করছেন। এ জন্য প্রায় দু’লক্ষ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাওয়া যাবে বলে কর্তারা জানান। শহরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিন বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement