তৎপরতা: আগুন নেভানোর কাজ চলছে। রবিবার, হরিশ মুখার্জি রোডের সেই ব্যাঙ্কে। নিজস্ব চিত্র
নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন না বলে অভিযোগ। চাবি না পেয়ে তাই রবিবার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের আগুন নেভাতে শাবল দিয়ে গেটের তালা ভেঙে কাজ শুরু করতে হল দমকলকে। রবিবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার হরিশ মুখার্জি রোডে ওই ঘটনা ঘটে।
পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ব্যাঙ্কের নিরাপত্তাকর্মীকে খুঁজে না পেয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে দেরি হয় দমকলের। দমকল সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ ব্যাঙ্কে আগুন লাগে। একটি বাণিজ্যিক বহুতলের একতলায় রয়েছে ব্যাঙ্কটি। কয়েক জন কিশোর ব্যাঙ্ক থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। এর পরে বহুতলটির দারোয়ান চাবি নিয়ে এসে ব্যাঙ্কে লাগোয়া একটি গেট খুলে দিলে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। খবর পেয়ে দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
ওই ব্যাঙ্কের পাশে একটি এটিএমের রক্ষী মিরাজ শেখের দাবি,‘‘আমিই এই বাড়ির দারোয়ান শিব সিংহকে ঘুম থেকে তুলি। ওঁর কাছে ব্যাঙ্কের মূল গেটের পাশের গেটের চাবি ছিল। তিনি ওই গেট খুলে দিতেই ধোঁয়া বেরোতে থাকে। তার পরে দমকল আসে।’’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত দমকলের ডিজি জগমোহন বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের একতলার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র থেকে আগুন লাগে। দরজা বন্ধ থাকায় আমাদের ভিতরে ঢুকতে সময় লেগেছিল।’’ তিনি জানান, ব্যাঙ্কের ভিতরে অগ্নিনির্বাপক ছাড়া আগুন নেভানোর আর তেমন কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এক দমকল আধিকারিকের কথায়, ‘‘তালা ভাঙতে সময় বেশি লাগলে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারত।’’
এ দিন ব্যাঙ্কের নিরাপত্তায় ছিলেন সুজিত মিত্র। পরে অবশ্য তাঁকে ঘটনাস্থলে খুঁজে পাওয়া যায়। তবে দমকল কেন ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে খুঁজে পায়নি তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি সুজিতবাবু। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি ব্যাঙ্কের আধিকারিকেরাও।
স্থানীয় কালীঘাট থানার পুলিশ জানায়, ব্যাঙ্কে একটি আপৎকালীন যাতায়াতের পথ তৈরির কথা বলা হবে। আজ, সোমবার ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের অগ্নি নির্বাপন সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি নিয়ে থানায় দেখা করতে বলা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাগড়ি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডেও ঘটনার সময় তালাবন্ধ বাজারের কোনও নিরাপত্তারক্ষীর দেখা মেলেনি। মেলেনি বিভিন্ন গেটের চাবিও। তাতেই বাগড়ি মার্কেটের সব তলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।