প্রতীকী ছবি।
কলকাতা পুলিশের সঙ্গে শহরের বিভিন্ন কালীপুজো কমিটির বৈঠকেও সোমবার মুখ্য হয়ে উঠল শব্দবাজির প্রসঙ্গ। কালীপুজো ও দীপাবলিতে শব্দবাজি ঠেকাতে শহরবাসীকে সচেতন করতে পুজো কমিটিগুলির কাছেও আবেদন জানালেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা। পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা বলেন, ‘‘শব্দবাজি, ডিজে, লাউড স্পিকার নিয়ে আদালতের যা যা নির্দেশ রয়েছে, তা সকলকে মানতে হবে।’’
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, কলকাতা পুরসভা, সিইএসসি এবং দমকলের প্রতিনিধিরা। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়েছে, শব্দবাজি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে তারা এ বার বিভিন্ন বহুতলের ছাদে কুইজের আয়োজন করবে। সেখানে ছোটদের হাতে তুলে দেওয়া হবে অনুমোদনপ্রাপ্ত বাজি। দমকল জানিয়েছে, কালীপুজোর সময়ে দু’দিন বিকেল তিনটে থেকে শহরের বিভিন্ন থানা সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত দমকলকেন্দ্র চালু থাকবে। সিইএসসি-র তরফে কালীপুজোর দু’দিন হেল্পলাইন (৯৮৩১০৭৯৬৬৬ এবং ৯৮৩১০৮৩৭০০) চালু করা হয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে ওয়াটগঞ্জের একটি পুজো কমিটির এক প্রতিনিধি বলেন, ‘‘কালীপুজোর সময়ে শব্দদূষণ ঠেকাতে প্রশাসন যতটা সক্রিয় হয়, সারা বছর তার অন্তত কিছুটা সক্রিয় থাকলে মানুষের ভোগান্তি কমে।’’ পর্ষদের এক কর্তার কথায়, ‘‘কালীপুজোর দূষণ বছরের অন্যান্য সময়ের দূষণকে ছাপিয়ে যায়। সেই জন্যই এই সময়ে মানুষকে বেশি করে সচেতন করা হয়।’’
একাধিক পুজো কমিটি দাবি তোলে, দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোর জন্যও অনুদানের ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি বিদ্যুতের বিলেও ছাড় পেলে ভাল হয়। পুরসভা এবং সিইএসসি-র প্রতিনিধিরা বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।