সিটিসি-র পুড়ে যাওয়া বাস। বেলগাছিয়া ডিপোয়। —ফাইল চিত্র।
গত কয়েক মাসে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ক্যালকাটা ট্রাম কোম্পানি (সিটিসি)-র বেশ কিছু বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সেই তালিকায় শেষ সংযোজন ছিল হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। বুধবার সেখানে আগুন লাগে চলন্ত একটি বাসে। তার আগে বেলগাছিয়া ডিপোয় পুড়ে যায় সাতটি বাস। রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরপর এমন ঘটনায় সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই পরিবহণ দফতর তাদের ইঞ্জিনিয়ার এবং পদস্থ আধিকারিকদের দিয়ে ঘটনার তদন্ত করায়। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, যন্ত্রাংশে গোলযোগের জেরেই এই বিপত্তি হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহণ দফতরের সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশন (জেএনএনইউআরএম)-এর প্রথম পর্বে অর্থাত্ ২০০৯ সালে যে বাসগুলি কেনা হয়েছিল, আগুনে তারই কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন লাগার কারণ বাসগুলিতে উপযুক্ত যন্ত্রাংশের অভাব। অনেক সময়ে বিকল্প হিসেবে দেশি যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হচ্ছিল। তার জেরেই এই বিপত্তি। যন্ত্রাংশের অভাব মেটাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।”
আলাপনবাবু জানান, ভবিষ্যতে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড আটকাতে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, ডিপো থেকে ছাড়ার আগে প্রতিটি বাস ভালো ভাবে পরীক্ষা করা হবে। পাশাপাশি, বৃহত্তর কলকাতায় যে ২৫টি ডিপো রয়েছে, অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ওই ডিপোগুলিতে সমীক্ষা চালাবেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্টের বিশেষজ্ঞেরা। রিপোর্ট দিতে হবে তিন মাসের মধ্যে। তার ভিত্তিতে ডিপোগুলির অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজা হবে। পরিবহণ সচিব বলেন, “প্রথমে বৃহত্তর কলকাতায় এই কাজ শুরু হচ্ছে। পরে ধীরে ধীরে জেলাগুলিতেও হবে।”