গেঞ্জি ছাপানোর কারখানায় আগুন

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন সকাল সওয়া আটটা নাগাদ গেঞ্জি ছাপানোর ওই কারখানা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সময়ে কারখানা বন্ধ ছিল। নিরাপত্তারক্ষীরাও পুলিশ ও দমকলে খবর দেন। পাড়ার লোকজনই প্রথমে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে তত ক্ষণে আগুন কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০২:৩৯
Share:

আগুনের তাপে বেঁকে গিয়েছে কারখানার ছাদ। ছবি: সুমন বল্লভ

আগুনে পুড়ে গেল গেঞ্জি ছাপানোর একটি কারখানা (সিল্ক স্ক্রিন প্রিন্টিং ইউনিট)। শনিবার সকালে চিৎপুর থানা এলাকায় ১ নম্বর দিলার জং রোডে একটি বাড়ির দোতলায় ওই কারখানায় আগুন লাগে। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। পুলিশ ও দমকল জানায়, কেউ হতাহত হননি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন সকাল সওয়া আটটা নাগাদ গেঞ্জি ছাপানোর ওই কারখানা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সময়ে কারখানা বন্ধ ছিল। নিরাপত্তারক্ষীরাও পুলিশ ও দমকলে খবর দেন। পাড়ার লোকজনই প্রথমে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে তত ক্ষণে আগুন কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ জানায়, সিল্ক স্ক্রিন প্রিন্টিংয়ের কাজের জন্য দোতলায় প্রচুর রাসায়নিক ও রং রাখা ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানায়, বাড়িটিতে ওই ধরনের আরও কয়েকটি ছাপাখানা ও কাপড়ের গুদাম রয়েছে। দমকলের কর্মীরা দ্রুত পৌঁছে যাওয়ায় আশপাশের কারখানা বা গুদামে আগুন ছড়াতে পারেনি। তাঁরা দোতলার ছাদে উঠে উপর থেকেও জল দিতে থাকেন। দমকল সূত্রের খবর, আগুনের তাপে দোতলার ছাদ নেমে যায়। বেঁকে যায় লোহার বিমও। পুড়ে যায় প্রচুর গেঞ্জি ও গেঞ্জির কাপড়।

Advertisement

দমকল সূত্রে খবর, ওই কারখানায় অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র ছিল। কিন্তু রাসায়নিকের আগুন নেভানোর ক্ষমতা সেই যন্ত্রের ছিল না। কারখানা চালানোর জন্য দমকলের ছাড়পত্র ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিন শ্রমিকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ছাপাখানা খুলতে দেরি হলে তাঁদের পক্ষে সংসার চালানো কষ্টকর হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement