রেস্তোরাঁয় বসে তখন হাতে গোনা কয়েক জন খাচ্ছেন। কর্মচারীরাও নানা কাজে ব্যস্ত। হঠাৎ রান্নাঘর থেকে ‘আগুন আগুন’ বলে দৌড়ে বেরিয়ে এলেন কয়েক জন কর্মচারী। মুহূর্তে ধোঁয়ায় ভরে গেল গোটা রেস্তোরাঁ। টেবিলেই পড়ে রইল বিরিয়ানি, চাঁপ, রেজালা, তন্দুরি, কাবাব। সব ফেলে সবাই তখন রাস্তায়।
রেস্তোরাঁর রান্নাঘরের চিমনি থেকে তখন গলগল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। একতলা ওই রেস্তোরাঁ যে বাড়িতে, তার উপরের দু’টি তলা ভরেছে ধোঁয়ায়। মঙ্গলবার দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ পার্ক সার্কাস মোড়ে ওই রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। দেড়টার পরে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আসে। পরে পৌঁছয় আরও দু’টি ইঞ্জিন। এক ঘণ্টারও বেশি সময়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
দমকলের ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার (সেন্ট্রাল ডিভিশন) কমলকুমার নন্দী বলেন, ‘‘রেস্তোরাঁর রান্নাঘরের চিমনিতে আগুন লাগে। মনে হচ্ছে রান্না করার সময়ে কোনও ভাবে আগুন চিমনিতে চলে গিয়েছিল। গ্যাস থেকেও হতে পারে।’’ রেস্তোরাঁর এক কর্মচারী তৈয়াব আলি বলেন, ‘‘তন্দুরি বানানোর সময়ে আগুনের ফুলকি মনে হয় ওই চিমনিতে চলে গিয়েছিল।’’
রেস্তোরাঁটির উপরের দু’টি তলায় কয়েকটি পরিবারের বাস। তাঁদের এক জন পারভেজ আলম বলেন, ‘‘নীচে যে ভাবে আগুন ও সিলিন্ডার কাছাকাছি থাকে, তাতে যে কোনও সময়ে অঘটন ঘটতে পারে।’’ রেস্তোরাঁয় দেখা গেল, রান্নাঘরের বাইরেই মিটার ঘর। যত্রতত্র বৈদ্যুতিক তার, সিলিন্ডার রয়েছে। যদিও রেস্তোরাঁর এক কর্তা, মহম্মদ তনফির হুসেন বলেন, ‘‘আমাদের রেস্তোরাঁর অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক রয়েছে।’’
এ দিনই বিকেলে বি বা দী বাগের টেলিফোন ভবনে আগুন লাগে। পুলিশ জানায়, ওই ভবনের পাঁচ তলা ধোঁয়ায় ভরে যায়। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আগুন নেভায়। দমকলের অনুমান, বৈদ্যুতিক সমস্যাতেই এই বিপত্তি।