আনন্দপুরের প্লাস্টিক কারখানায় আগুন। — নিজস্ব চিত্র।
আবারও কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। এ বার আনন্দপুর থানার চিনা মন্দির এলাকায়। জানা গিয়েছে, সেখানকার এক প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগেছে। রবিবার বিকেলের দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রাণ বাঁচাতে উপর থেকে ঝাঁপ দিলেন এক ব্যক্তি। উপর থেকে নীচে পড়ায় আহত হয়েছেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর।
দমকল সূত্রে খবর, পশ্চিম চৌবাগার চিনা মন্দির এলাকার একটি চার তলা বিল্ডিংয়ে ছিল প্লাস্টিক কারখানাটি। ওই বিল্ডিংয়ের উপরে দু’টি তলা জুড়ে কারখানার কাজকর্ম হত। রবিবার বিকেলে আচমকাই সেখানে আগুন লেগে যায়। দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে কারখানা। চারপাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।
আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় দমকলকে। স্থানীয়েরাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। বালতি করে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে আগুনের তীব্রতা এতটাই যে, তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের আটটি ইঞ্জিন।
যে বাড়িতে আগুন লেগেছে, তার লাগোয়া অনেক বাড়ি রয়েছে। ফলে আগুন সেই সব বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। দ্রুত ওই সব বাড়িগুলি খালি করে দেওয়া হয়েছে। জোরে বাতাস বইছে, ফলে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। তবে তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে।
কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার হওয়ায় কারখানা বন্ধ ছিল। কাজে আসেননি শ্রমিকেরা। তাই হতাহতের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে ওই কারখানায় অনেক দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। সেই কারণেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এক দমকলকর্মীর কথায়, ‘‘আগুন নেভানোই এখন আমাদের প্রাথমিক কাজ। তার পরই বোঝা যাবে কী ভাবে আগুন লাগল এই কারখানায়।’’ তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনে কলকাতায় কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে কসবা এলাকার এক শপিং মলে আগুন লেগে গিয়েছিল। ফলে এখনও পর্যন্ত ওই শপিং মল খোলা যায়নি। অন্য দিকে, দিন দুয়েক আগেই বাইপাসের ধাপা এলাকার একটি রাসয়নিক কারখানায় আগুন লাগে। মঙ্গলবার সকালে ধাপার মাঠপুকুর এলাকায় একটি রাসায়নিক কারখানায় আগুন লাগে সাড়ে ১১টা নাগাদ। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা দ্রুত গোটা কারখানাটিকে গ্রাস করে। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। তার পর আবার কলকাতার এক কারখানা আগুনের গ্রাসে বিপর্যস্ত।