দাউদাউ: জ্বলছে সেই গুদাম। নিজস্ব চিত্র
দাউদাউ করে জ্বলছে কসবার ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে চামড়ার গুদামঘর। লাগোয়া বেসরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে এসে দেখেন, আগুন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। হাসপাতালের পাম্প চালিয়ে আগুন নেভানোর কাজে প্রথমে হাত দেন তাঁরা। পরে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। রবিবার ভোরে ই এম বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালের পিছনে ওই আগুনের জেরে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আহত হয়েছেন আনন্দপুর থানার এক পুলিশকর্মী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার ভোর চারটে নাগাদ আনন্দপুর থানা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের কাছাকাছি কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের চামড়ার গুদামে আগুন লাগে। ওই আগুন পাশের দু’টি ঝুপড়ি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে, কী করে হাসপাতালের সামনে ঝুপড়ি গজিয়ে উঠল। কেন সেই ঝুপড়ি প্রশাসনের নজর এড়িয়ে গেল।
হাসপাতালের রক্ষীরা আগুনের ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁরাই দমকলে খবর দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, চামড়ার গুদাম থেকে আগুন রাস্তার পাশে পরপর ঝুপড়িতে ছড়িয়ে পড়তেই বিপত্তি আরও বাড়ে। খবর পেয়ে আনন্দপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। হাসপাতালের এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘‘ওই ঝুপড়ির কাছেই ছিলেন আনন্দপুর থানার এক পুলিশকর্মী। ঝুপড়ির মধ্যে একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিকট শব্দে ফাটার পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।’’ হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ওই বেসরকারি হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাপস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা হাসপাতালের পাম্প চালিয়ে আগুন নেভানোর কাজে হাত দেন। ভোরে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। দমকল তৎপরতার সঙ্গে কাজ করায় আগুন তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’’
পুলিশ জানায়, আগুনের জেরে ওই হাসপাতালের নার্সিং স্কুলের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতালের তরফে তাপসবাবু বলেন, ‘‘কালো ধোঁয়া নার্সিং স্কুলে ঢুকে পড়ায় কাচ ভাঙতে হয়েছে। স্কুলের বাইরে চারটি এসি নষ্ট হয়েছে।’’ তবে কী কারণে আগুন লাগল সে বিষয়ে ধন্ধে দমকলের আধিকারিকেরা। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ফরেন্সিক পরীক্ষার পরে আগুনের কারণ স্পষ্ট হবে।’’
রবিবার বেলা একটা নাগাদ শিয়ালদহের সুরেন্দ্রনাথ কলেজের উল্টো দিকে তিনতলা বাড়ির দোতলায় কাপড়ের গুদামঘরে আগুন লাগে। পুলিশ জানায়, ওই তেতলা বাড়িটির বেশির ভাগ অংশ ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হয়। এ দিন আগুনের জেরে আশপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। খবর পেয়ে দমকলের চারটি ইঞ্জিন প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, দমকলের কর্মীরা গুদামের তালা ভেঙে ওই গুদামঘরে ঢোকেন।