বাইপাসের ধারে কালিকাপুরে ঝুপড়িতে আগুন। ছবি: সংগৃহীত।
শহরে আবার অগ্নিকাণ্ড। মঙ্গলবার বিকেলে ইএম বাইপাসের ধারে কালিকাপুরে ঝুপড়িতে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। যদিও তত ক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ঘরগুলি। তবে কেউ হতাহত হননি। ঝুপড়ির পাশে রয়েছে একটি বহুতল, রেস্তরাঁ এবং বেশ কিছু দোকান। সেখানে আগুন ছড়ায়নি। তবে ঝুপড়ির পাশে একটি পাকা বাড়ির ভিতর আগুনের ফুলকি ঢুকে বিছানায় আগুন ধরে গিয়েছে। ঘর হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ঝুপড়ির বাসিন্দারা। কী ভাবে সেখানে আগুন লেগেছে, এখনও তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি দমকল কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার কিছু পরে আগুন ধরে একটি ঝুপড়িতে। তার পর সেই আগুন পাশের ঘরগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। পাঁচটি ইঞ্জিন নেভায় আগুন। তত ক্ষণে ঝুপড়িগুলির ভিতরে আর কিছুই অক্ষত ছিল না। সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ঘর হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাসিন্দারা। মমতা হালদার নামে এক বাসিন্দা জানিয়েছে, প্রায় পাঁচ-ছ’টি ঝুপড়ি পুড়ে গিয়েছে। আগুন দেখে সকলে ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। সে কারণে, কেউ হতাহত হননি। তিনি বলেন, ‘‘আগুন দেখেই ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে আসে সকলে। সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। বুঝতে পারছি না কী ভাবে আগুন লেগেছে।’’
এর আগে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাইপাসের ধারে আনন্দপুর বস্তিতে আগুন লাগে। হাওয়ার গতি বেশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় প্রায় ৫০টি ঝুপড়ি, দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার কয়েক দিন পরে ছিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। ঘরে আগুন লাগায় বিপাকে পড়েন তাঁরা। সিলিন্ডার ফেটে হয়েছিল সেই বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলে দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।