Fire Breaks Out in Slum

বাইপাসের ধারে বস্তিতে আগুন, একের পর এক বিস্ফোরণ, ৫০-এর বেশি ঘর, দোকান ভস্মীভূত

বাইপাসের ধারে আনন্দপুরের বস্তিতে আগুন। একের পর এক ঘর পুড়ে ছাই। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। উদ্বেগের কারণ নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:১৩
Share:

আনন্দপুরের বস্তিতে আগুন। দাউদাউ করে জ্বলছে ঝুপড়ি। ছবি: সংগৃহীত।

বাইপাসের ধারে আনন্দপুরের বস্তিতে আগুন। একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ। মনে করা হচ্ছে, সিলিন্ডার ফেটে ঘটছে বিস্ফোরণ। রবিবার সকালের এই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০টি ঝুপড়ি ঘর, দোকান পুড়ে ছাই। চারদিক ঢেকেছে ধোঁয়ায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। বহু বাসিন্দার ঘরছাড়া হওয়ার আশঙ্কা। বিপাকে ঝুপড়ির বাসিন্দা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। উদ্বেগের কারণ নেই।

Advertisement

রবিবার সকাল থেকে কলকাতায় হাওয়ার গতি ছিল খুব বেশি। মনে করা হচ্ছে, সে কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুত। বস্তিতে ছিল বেশ কিছু খাবার এবং চায়ের দোকান। সেখানে আগুন লেগে গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়। ক্রমে একের পর এক ঝুপড়িতে আগুন লাগে। সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট নাগাদ দমকলে খবর দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের চারটি গাড়ি। আগুন নেভানোর কাজে নামেন দমকলকর্মীরা। আগুন যেখানে লেগেছে, তার কাছেই রয়েছে একটি বেসরকারি হাসপাতাল। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে সেখানে যোগাযোগ করা হলে কর্তৃপক্ষ জানান, আগুনের আঁচ সেখানে পড়েনি। হাসপাতালে কিছু সরানোর ব্যবস্থাও করা হয়নি।

বস্তির অনেক বাসিন্দাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন। ঝুপড়িতে আগুন লাগার ফলে তাঁদের বইপত্র পুড়ে গিয়েছে। এর ফলে বিপাকে পরীক্ষার্থীরা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁরা। অনেকেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বইপত্র, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরানোর চেষ্টা করেন। দমকলকর্মীরা এসে সামলে নেন পরিস্থিতি। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে অনেক ঝুপড়ি পুড়ে ছাই। ঘরছাড়া বহু মানুষ। সম্বল খুইয়ে পথে বসেছেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement