Mamata Banerjee

দুর্ঘটনায় স্কুলপড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিবহণমন্ত্রীকে ফোন মমতার, পদক্ষেপের নির্দেশ

দুর্ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়ে বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০০
Share:

পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে দুর্ঘটনা নিয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। —ফাইল চিত্র।

দুর্ঘটনায় সল্টলেকে স্কুলপড়ুয়ার মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রীকে উত্তরবঙ্গ থেকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর পরেই বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন স্নেহাশিস। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা।

Advertisement

সাম্প্রতিক কালে কলকাতায় পথ দুর্ঘটনায় আরও দুই স্কুলপড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সল্টলেকে চতুর্থ শ্রেণির এক পড়ুয়ার মৃত্যুর পর বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মমতা। মঙ্গলবার জিটিএর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, সল্টলেকের দুর্ঘটনার খবর শুনে পরিবহণমন্ত্রীকে ফোন করেন মমতা। দুর্ঘটনা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দেন তিনি। এর পরেই পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসার ডাক দিয়েছেন স্নেহাশিস। প্রসঙ্গত, ওই দিনই কলকাতায় ফেরার কথা মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

মঙ্গলবার স্কুল থেকে মায়ের সঙ্গে স্কুটিতে চেপে ফিরছিল আয়ুষ পাইক নামে ওই ছাত্র। কেষ্টপুরের একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত সে। সল্টলেকের ২ নম্বর গেটের কাছে দু’টি বাসের মধ্যে রেষারেষি চলছিল সেই সময়। সল্টলেক-হাওড়া রুটের একটি বাসের ধাক্কায় স্কুটি থেকে ছিটকে পড়ে আয়ুষ। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার মা-ও হাসপাতালে ভর্তি। এর পরেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়েরা। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। বাস ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে উঠে যায় অবরোধ।

গত অক্টোবরে মহালয়ার দিন বাঁশদ্রোণীতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নবম শ্রেণির এক পড়ুয়ার। কোচিংয়ে যাওয়ার সময় জেসিবির ধাক্কায় তার মাথায় চোট লেগেছিল। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ওই এলাকায় রাস্তা সারাইয়ের কাজের জন্য চলছিল জেসিবি। এই নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয়েরা।

২০২৩ সালের অগস্ট মাসে বেহালায় লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের। তার বাবাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় পুলিশ এবং স্থানীয়দের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। শেষে পুলিশবাহিনী গিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে এনেছিল।

মঙ্গলবার সল্টলেকেও বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্র। তার পরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিবহণমন্ত্রীকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement