ফাইল চিত্র
দমকলের নিষেধ থাকায় প্রিয়া সিনেমা হল এবং হলের একতলায় থাকা মোমোর দোকান খোলেনি। যদিও ওই দোকান ছাড়া রেস্তরাঁ, পানশালা
এবং একটি স্টল বৃহস্পতিবার থেকেই চালু হয়ে গিয়েছে। ওই স্টল এবং রেস্তরাঁর বক্তব্য, দমকলের তরফে তাদের দোকান বন্ধ রাখার নোটিস পাঠানো হয়নি। তবে গত মঙ্গলবার পাঁচতলা ওই বাড়ির অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রিয়া সিনেমা হলের মালিক অরিজিৎ দত্তকে নোটিস পাঠিয়েছে দমকল। সেখানে বলা হয়েছে, সিনেমা হলে থাকা অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থাগুলির কোনওটিই কাজ করার মতো অবস্থায় ছিল না।
প্রসঙ্গ, গত রবিবার রাত সওয়া ১০টা নাগাদ শো চলাকালীন প্রিয়ায় আগুন লাগে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন আয়ত্তে আনে। তার পরেই আগুনের উৎস নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয় ফরেন্সিক এবং দমকলের মধ্যে। মঙ্গলবার তাদের পাঠানো নোটিসে চারটি ত্রুটির কথা তুলে ধরেছে দমকল। ১) হলের ভিতরে ৮০ মিলিমিটার ব্যাসের যে জলের পাইপলাইন রয়েছে, সেটি কাজ করার অবস্থায় নেই। ২) স্মোক-ডিটেকটর এবং এমসিপি অকেজো। ৩) ছাদে জলের ট্যাঙ্ক থেকে থাকা বুস্টার পাম্প কাজ করে না। ৪) বাড়িটি একাধিক কাজে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু নিজস্ব অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা কাজ না করলে বিকল্প হিসেবে অতিরিক্ত অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা সিনেমা হলে
রাখা হয়নি।
শুধু ত্রুটি তুলে ধরা নয়। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বাড়িটিতে আর কী কী ব্যবস্থা করা জরুরি সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে নোটিসে। বলা হয়েছে, ভবনের ভিতরের সিঁড়ির পাশে জলের পাইপ বসাতে হবে। সিনেমা হল ছাড়া বাকি সব
জায়গায় লাগাতে হবে স্মোক ডিটেকটর, হিট ডিটেকটর, বিম ডিটেকটর এবং স্প্রিঙ্কলার। বাড়ির একতলায় থাকা ট্রান্সফর্মারের কাছে জলের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে, যাতে আগুন লাগলে সেখান থেকে জল দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। তবে দমকলের পাঠানো নোটিস সম্পর্কে অরিজিৎবাবু এ দিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি।