Majerhat Bridge

সেতু ভাঙার চূড়ান্ত রিপোর্ট কোর্টে জমা পড়ল না দু’বছরেও

পুলিশের একটি সূত্রের খবর, ন্যাশনাল টেস্ট হাউসের রিপোর্টে সেতু ভেঙে পড়ার কোনও নির্দিষ্ট কারণ বলা হয়নি।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার ও কুন্তক চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৪৪
Share:

ফাইল চিত্র।

মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের দু’বছর পূরণ হতে চলেছে। অথচ এখনও জানাই গেল না সেতু ভেঙে পড়ার কারণ! এ দিকে ওই ঘটনার তদন্ত শেষ না-হওয়ায় আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্টও জমা পড়েনি।

Advertisement

পুলিশের একটি সূত্রের খবর, ন্যাশনাল টেস্ট হাউসের রিপোর্টে সেতু ভেঙে পড়ার কোনও নির্দিষ্ট কারণ বলা হয়নি। তাই প্রকৃত কারণ খুঁজতে খড়্গপুর আইআইটির ইঞ্জিনিয়ার ও বিশেষজ্ঞদের দ্বারস্থ হয়েছে লালবাজার। তাঁদের মতামত পেলেই আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়বে।

২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সেখানে নতুন সেতু নির্মাণও শুরু হয়েছে। যদিও প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রেলের কাছ থেকে কিছু অনুমতি এখনও মেলেনি। তাই এ বছর দুর্গাপুজোর আগে নির্মাণ শেষ হবে কি না, সে ব্যাপারে ধন্দ রয়ে গিয়েছে। ফলে আলিপুর ও বেহালার মধ্যে যোগাযোগ আপাতত স্বাভাবিক হওয়া অনিশ্চিত।

Advertisement

সেই সময়ে বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণে সেতু ভাঙার একাধিক কারণ উঠে এসেছিল। তার মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব যেমন ছিল, তেমনই সেতুর বয়স ও ভার বহন ক্ষমতা হ্রাসেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন তাঁরা। কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, ন্যাশনাল টেস্ট হাউসের রিপোর্টেও তেমনই একাধিক কারণ উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ব্যবহারে সেতুর ভার বহন ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছিল। তা ছাড়া সেতুর ‘ডেক’ বা উপরের স্তরের ওজন বৃদ্ধি পেয়েছিল। ওজন বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, মেরামতির সময়ে বার বার অ্যাসফল্টের স্তর সেতুর উপরে ফেলায় এই সমস্যা। এতেই বিপত্তি বেড়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীদের একটি অংশ। সেই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান গাড়ির চাপ তো আছেই। টেস্ট হাউসের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আবহাওয়ার কারণে সেতুর কাঠামো দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। সেতুর স্তম্ভের ক্ষেত্রে মাটির চরিত্র বদল-সহ বেশ কিছু কারণের উল্লেখ রয়েছে।

পুলিশের একাংশের বক্তব্য, তদন্তের মূল বিষয় হল ওই বিপর্যয়ের পিছনে কেউ দায়ী কি না, তা খুঁজে বার করা। অঘটনের পরে লালবাজার বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছিল। সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা পূর্ত দফতরের আধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার বদল হয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও নথিভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ রিপোর্ট এলেই জানা যাবে কারও গাফিলতি রয়েছে কি না। তার ভিত্তিতেই আদালতে চার্জশিটও দাখিল করা হতে পারে বলে লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement