দাবি: পুলিশ আবাসনের মহিলা বাসিন্দাদের বিক্ষোভ। (পাশে) আবর্জনাময় পুলিশ আবাসন চত্বর। বুধবার, সল্টলেকে। নিজস্ব চিত্র
এক দিকে উড়ালপুল বন্ধ। অন্য দিকে, রাস্তা অবরোধ। দু’য়ের জেরে বুধবার সল্টলেকবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হন। পর্যাপ্ত পানীয় জল ও বেহাল পরিকাঠামো নিয়ে সরব হয়ে রাস্তা অবরোধ করেন কলকাতা পুলিশ (চতুর্থ ব্যাটেলিয়ন) আবাসনের মহিলা বাসিন্দারা। বুধবার সকালে, সল্টলেকের সিএপি ক্যাম্পের মোড়ে। বিধাননগর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বললে প্রাথমিক ভাবে অবরোধ উঠে যায়। কিন্তু ফের অবরোধে বসেন আবাসিকেরা। দ্বিতীয় বার পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে পুলিশের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে সল্টলেকের সিএপি ক্যাম্পের চার মাথার মোড়ের এক দিকের দু’টি লেন আটকে অবরোধ শুরু করেন চতুর্থ ব্যাটেলিয়ন আবাসনের মহিলা আবাসিকেরা। তাঁদের অভিযোগ, আবাসনের ভিতর বসবাস যোগ্য অবস্থায় নেই। পানীয় জলের তীব্র অভাব রয়েছে। সেই সঙ্গে লিফট নষ্ট। আবর্জনায় ভরে গিয়েছে চত্বর। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও এ সবের ফল মেলে না। বাধ্য হয়ে তাই অবরোধ করছেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহিলারা জানান, তাঁদের স্বামীরা কলকাতা পুলিশে কর্মরত। ফলে অবরোধ করা ঠিক নয়, সেটা তাঁরাও জানেন। কিন্তু বারবার পরিকাঠামো উন্নতির কথা বলা হলেও কর্ণপাত করেননি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তাই এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান তাঁরা।
অবরোধের জেরে করুণাময়ী থেকে উল্টোডাঙার দিকে গাড়ি আটকে যায়। এক দিকে, উল্টোডাঙা উড়ালপুল বন্ধ থাকায় সকাল থেকেই উল্টোডাঙা-সল্টলেকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। তারই মধ্যে এমন বিক্ষোভে দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় বিধাননগর পুলিশ। প্রথমে অবরোধ উঠলেও কিছু পরে ফের শুরু হয়। আবার পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়ে উত্তেজনা ছড়ায়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে পুলিশ। প্রথমে মহিলা পুলিশকর্মী ছিলেন না। পুরুষ পুলিশইকর্মীরাই তাঁদের ধাক্কাধাক্কি করেন। খবর পেয়ে বিধাননগর পুলিশের এক পদস্থ কর্তা এবং কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার শ্রীহরি পাণ্ডে ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীদের অন্যত্র নিয়ে গিয়ে তাঁদের অভিযোগ নিয়ে কথা বলেন কর্তারা। এর পরেই অবরোধ প্রত্যাহার করেন আবাসিকেরা। দাবি মতো পরিকাঠামোর উন্নতি না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার কথাও
জানিয়েছেন তাঁরা।