—প্রতীকী চিত্র।
বাগুইআটি থানা এলাকার অশ্বিনীনগরে পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ায় বছর সতেরোর এক কিশোরের মৃত্যু, কিংবা তারও আগে কলকাতা ও সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় পুরনো বাড়ি ভেঙে পড়ে প্রাণহানি— বর্ষায় বার বারই ঘটেছে এমন ঘটনা। কিন্তু তা দেখে কি আদৌ শিক্ষা নিচ্ছে দমদমের তিন পুরসভা? বাগুইআটি-কাণ্ডের পরে ফের এই প্রশ্ন সামনে এসেছে। কারণ, ওই তিন পুর এলাকাতেও রয়েছে বেশ কিছু বিপজ্জনক বাড়ি। সেই সমস্ত বাড়ির মালিকদের একাধিক বার জীর্ণ অংশ মেরামতির জন্য নোটিস পাঠিয়েছে পুরসভা। এমনই দাবি করেছে তারা। যদিও তাতে ছবিটা বদলায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, আর কিছু না হোক, অন্তত কলকাতা পুরসভার ধাঁচে বিপজ্জনক বাড়ি চিহ্নিত করে সেগুলি ঘিরে রাখার ব্যবস্থা করা হোক। তাতে পথচলতি মানুষ সতর্ক হতে পারবেন। দমদমের তিন পুর কর্তৃপক্ষই জানিয়েছেন, তাঁরা এই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ করবেন।
বিরাটিতে জনবহুল এলাকায় একটি পুরনো বাড়ির বেহাল দশা। পলেস্তারা খসে বেরিয়ে থাকা ভাঙাচোরা ইটের দেওয়াল কার্যত ভয় ধরাবে। দোতলা বাড়ির একতলায় রয়েছে একাধিক দোকান। উপরে কয়েকটি পরিবারের বসবাস। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই বাড়ি ভেঙে যে কোনও দিন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও কারও কোনও হুঁশ নেই।
পুরসভাগুলির দাবি, একাধিক পুরনো বাড়ি থাকলেও ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায় রয়েছে, এমন বাড়ির সংখ্যা কম। ওই সমস্ত অধিকাংশ বাড়ির ক্ষেত্রেই শরিকি বিবাদ, মালিক-ভাড়াটে দ্বন্দ্ব রয়েছে। নানা জটিলতায় সেই সব বাড়ির সংস্কারের কাজ হয় না। দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক কর্তা জানান, কিছু পুরনো বাড়ির মালিককে নোটিস পাঠানো হয়েছে। এ বার বিপজ্জনক বাড়ি চিহ্নিত করতে পদক্ষেপ করা হবে।
সমস্যার কথা পুরোপুরি মানতে না চাইলেও দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান হরিন্দর সিংহ কিংবা উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, নোটিস পাঠিয়েও লাভ হয়নি। তাই বিপদ এড়াতে কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।