প্রতীকী ছবি
পরীক্ষায় তাদের খাতা ঠিক মতো দেখা হয়নি, এমনই অভিযোগ তুলে টালিগঞ্জ অশোকনগর হাইস্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের একাংশ রাস্তা অবরোধ করল। সঙ্গে যোগ দিলেন তাদের অভিভাবকেরাও। সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্কুলের কাছে এন এস সি বসু রোড অবরোধ করা হয়। পরে অবরোধকারীরা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও যান। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী অভিভাবকেরা ঘোষণা করেছেন, আজ, মঙ্গলবার তাঁরা বিচার চাইতে সল্টলেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে যাবেন।
অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অভিযোগ, অশোকনগর হাইস্কুলের বাণিজ্য শাখায় ১৫০ জনের মধ্যে ১৩০ জন পরীক্ষায় পাশ করেনি। ওই ফলাফল অসম্ভব দাবি করে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পরীক্ষার খাতা ঠিক মতো না দেখার জন্যই এ রকম ফলাফল।
উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্যদের ফলাফলের তথ্য ও নম্বর অনলাইনে দেওয়া হয়নি। তাদের নম্বরের জায়গায় শুধু লেখা ছিল ‘কন্ট্যাক্ট ইওর ইনস্টিটিউশন’ অর্থাৎ স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এর ব্যাখ্যা হিসেবে সংসদ জানিয়েছে সরাসরি অকৃতকার্য হওয়ার খবর অনলাইনে দিলে অনেক পরীক্ষার্থীর মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে। স্কুল থেকে মার্কশিট নেওয়ার সময়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী তার ফলাফল বিস্তারিত জানতে পারবে। প্রতিবারই এমনই হয় বলেই দাবি সংসদের।
লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় রেজাল্ট বেরোনোর পরেই মার্কশিট পায়নি পড়ুয়ারা। তাদের ৩১ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অশোকনগর হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রথমে তারা অনলাইনে কোনও নম্বর না দেখে বুঝতে পারেনি কেন কোনও নম্বর আসেনি। কেনই বা তাদের মার্কশিটে স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা লেখা আছে। পরে তারা জানতে পারে তারা অকৃতকার্য হয়েছে।
এর পরেই এ দিন বিক্ষোভ দেখানো হয়। এক অভিভাবক রাজেশ গুপ্ত বলেন, ‘‘কোনও ভাবেই একসঙ্গে ১৩০ জন অকৃতকার্য হতে পারে না। যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের অনেকেই টেস্টে ভাল ফল করেছিল। টেস্টের থেকে বোর্ডে ফল ভাল হয়। ওরা সবাই ফেল করে গেল! খাতা ঠিক মতো না দেখার ফলেই এটা হয়েছে। মঙ্গলবার সল্টলেকের সংসদ অফিসে যাব ভুল সংশোধনের দাবি জানাতে। সমস্যা তো কোথাও একটা হয়েছেই।’’
যদিও সংসদ অফিসে এসে এ রকম বিক্ষোভকে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস। তিনি বলেন, ‘‘পরীক্ষার ফল খারাপ হলে কিংবা ফল নিয়ে কোনও সন্দেহ হলে তা যাচাই করতে খাতা রিভিউ, স্ক্রুটিনি কিংবা
আরটিআই-এর ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এ ভাবে অকৃতকার্য হয়ে পর্ষদ অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখিয়ে আইন শৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি করলে তা বরদাস্ত করা হবে না।’’