জ্বলছে কাপড়ের শো-রুম। —ফাইল চিত্র।
পুজোর মরসুম। তাই সোমবার হওয়া সত্ত্বেও খোলা ছিল ফ্যান্সি মার্কেট। আর সেই কারণেই বিধ্বংসী আগুনে পুরোপুরি ভস্মীভূত হওয়া থেকে বেঁচে গেল ওই বাজার। কারণ, আগুন লাগার পরে দোকানিরাই প্রাথমিক ভাবে তা নেভানোর কাজ শুরু করেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ আচমকা পাঁচতলার একটি পানশালায় আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পড়ে। পুজো উপলক্ষে ওই মার্কেটের চার দিকে টুনি বাল্ব লাগানো হয়েছিল। দমকল ও পুলিশ সূত্রের খবর, ওই টুনি লাইটের তার থেকেই শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন ছড়িয়েছে। পানশালা লাগোয়া একটি কাপড়ের দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। গোটা বাজারে একমাত্র ওই দোকানটিই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, আগুন লাগার পরে তাঁরা নিজেরাই জল দিয়ে তা নেভানোর কাজ শুরু করেন। দমকল আসার আগে তাই আগুন ছড়াতে পারেনি।
ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য সময় হলে পানশালার আগুনে পুরো বাজারটাই ছাই হয়ে যেত। এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘বছরখানেক আগে বাগড়ি মার্কেটের যে অবস্থা হয়েছিল, এই বাজারেরও সেই অবস্থা হত। এখানে হাজারখানেক দোকান রয়েছে। সবই অতিদাহ্য পারফিউম ও জামাকাপড়ে ঠাসা। ওই আগুন ছড়িয়ে গেলে নিমেষে ভস্মীভূত হয়ে যেত গোটা বাজার। পাশে লাগোয়া আরও একাধিক মার্কেট রয়েছে। আগুন সেখানেও ছড়িয়ে পড়ত।’’
গোটা ফ্যান্সি মার্কেট ঘুরে দেখা গেল, আগুন নেভানোর ন্যূনতম ব্যবস্থাও নেই। ওই বাজারের মালিক রাজেন্দ্র সিংহ এ বিষয়ে বলেন, ‘‘এই মার্কেট ৫০ বছরের পুরনো। দমকলের অনুমোদনের আবেদন করেছি। খুব তাড়াতাড়িই সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে।’’