Coronavirus

উত্তরে হকারের চেনা ছবি, ভিড় কম দক্ষিণে

হকারেরা যাতে ব্যবসা করতে পারেন, তার জন্য গত সপ্তাহেই পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২০ ০৬:১৯
Share:

প্রত্যাবর্তন: (উপরে) আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে হাতিবাগান। ফুটপাতে খুলেছে কিছু দোকান। (নীচে) গড়িয়াহাটে স্টল খোলার প্রথম দিনে দোকানে মাস্কের ছড়াছড়ি। সোমবার। ছবি: নিজস্ব চিত্র, রণজিৎ নন্দী

পঞ্চম দফার লকডাউনে শহরের দুই প্রান্তের ফুটপাতে সোমবার ধরা পড়ল দুই ভিন্ন চিত্র।

Advertisement

উত্তরে হাতিবাগানের হকারেরা দূরত্ব বজায় রেখে পালা করে বসার শর্তে ফুটপাতে ব্যবসা করার অনুমতি পাওয়ায় তাঁরা ব্যবসা শুরু করলেন। কিন্তু সেই অনুমতি না মেলায় সোমবার গড়িয়াহাটের হকারদের সিংহভাগকেই বসতে দেখা গেল না। বিক্ষিপ্ত ভাবে কয়েক জনকেই দেখা গেল ডালা খুলে বসতে।

হকারেরা যাতে ব্যবসা করতে পারেন, তার জন্য গত সপ্তাহেই পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘‘হকারেরা পালা করে ফুটপাতে ব্যবসা করবেন।’’ কিন্তু এ দিন গড়িয়াহাটে ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার পুর বাজারের সামনে হাতে গোনা কয়েক জনই দোকান খুলেছেন।

Advertisement

করোনা এবং আমপান— দুইয়ের কারণেই ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে হকারেরা জানিয়েছেন। হাতিবাগানের হকার শঙ্কর পাল বলেন, ‘‘যাঁরা দূরে থাকেন, ট্রেনে যাতায়াত করেন লকডাউনের জন্য তাঁদের অনেকেই আমপানের পরে হাতিবাগানে আসতে পারেননি। আজ এসে ডালা খুলে অনেকেরই মাথায় হাত। ভিতরে থাকা প্রচুর জামাকাপড় ভিজে গিয়েছে। সে সব শুকোতে দিয়েছেন তাঁরা। এর পরে জামাকাপড় ইস্ত্রি করে বিক্রির উপযোগী হবে।’’ হকারেরা জানান, ফুটপাতের বড় দোকানে রাখা জিনিসপত্রও ভিজেছে। কারণ অনেক দোকানের শাটার দিয়ে বৃষ্টির জল ঢুকেছে।

তবে এ সব সামলে উঠে জিনিসপত্র শুকিয়ে হাতিবাগানের অনেক হকারকেই দেখা গেল বিক্রিবাট্টা পুরোদমে শুরু করেছেন। অনেকেকেই দেখা গেল মাস্ক ব্যবহার করতে। হকারদের দেখে জিনিসপত্রের দরদাম করতে এগিয়ে এলেন ক্রেতারাও। এক পথচারী সুকান্ত রায় বলেন, ‘‘হাতিবাগানের ফুটপাতের এই দোকানগুলি যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কত প্রয়োজনীয়, তা বুঝেছি লকডাউনে সব বন্ধ থাকার সময়ে। আজই কিছু জিনিস কিনলাম দোকান থেকে। তবে দূরত্ব-বিধি মেনেই হকারদের ব্যবসা করতে হবে।’’

শুকোতে দেওয়া জামাকাপড়ও কিছু কিছু বিক্রি করতে দেখা গেল গড়িয়াহাটের হকারদের। লালবাজারের একাংশ জানিয়েছে, গড়িয়াহাটের হকারদের বসার জন্য সরকারি নির্দেশ এ দিন দুপুর পর্যন্ত আসেনি। ফলে ওই এলাকার হকারদের সঙ্গে বৈঠক করে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গড়িয়াহাট হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ ঘোষ বলেন, ‘‘পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সরকারি নির্দেশিকা না থাকায় ব্যবসা শুরু করা যাচ্ছে না। আমরা ডিসি (এসইডি)-কে সব জানিয়েছি। আশা করা যাচ্ছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দোকান বা ডালা খুলে বসতে পারব আমরা।’’

আরও পড়ুন: ‘বাড়িওয়ালা ঘর ভাড়া না দিলে উঠব কোথায়?’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement