প্রতীকী ছবি।
মত্ত অবস্থায় মহিলাদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ধরে আনা হয়েছিল এক যুবককে। তাকে ছাড়াতে সটান থানায় হাজির এক ‘আইপিএস অফিসার’! যা শুনেই সন্দেহ হয়েছিল থানার বড়বাবুর। প্রশ্ন করতেই বেরিয়ে আসে যে, আইপিএস পরিচয়টি ভুয়ো। বালি থানার পুলিশ নরেশ কুমার নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে।
হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা নরেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সিপাই। সম্প্রতি বেলুড়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকছিল বলে দাবি করেছে সে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বেলুড়ের ধর্মতলা রোডে মত্ত অবস্থায় মহিলাদের কটূক্তি করা ও লোকজনের উপরে চড়াও হওয়ার অভিযোগে চন্দন মিশ্র নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এর কিছু ক্ষণ পরেই থানায় হাজির হয়ে নরেশ নিজেকে আইপিএস অফিসার বলে পরিচয় দেয়। ডিউটি অফিসারের থেকে তা জেনে বিস্মিত হন ওসি সঞ্জয় কুণ্ডু। তবু সম্মান জানাতে কোয়ার্টার্স থেকে থানায় চলে আসেন তিনি। তাঁকে নরেশ জানায়, কেন্দ্রীয় আইবি-তে ডেপুটেশনে সে কর্মরত।
সূত্রের খবর, কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় সঞ্জয়বাবু জানতে চান, নরেশ কোন ব্যাচের আইপিএস। ওই যুবক জানায়, ২০১৪ সালে পাশ করেছে সে। ওই বছর পাশ করা এক জন অফিসার হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে রয়েছেন। তাঁকেও সে চেনে বলে দাবি করে নরেশ। যদিও ওই অফিসারকে জিজ্ঞাসা করে সঞ্জয়বাবু জানতে পারেন, নরেশ বলে কেউ ২০১৪-র ব্যাচে ছিল না। তালিকাতেও নরেশের নাম মেলেনি। এর পরে পরিচয়পত্র দেখতে চাইতেই বিপাকে পড়ে নরেশ।
চাপ দিতেই সিপাইয়ের পরিচয়পত্র বার করে সে। এমনকি, তার কাছে পূর্ব রেলের মেডিক্যাল অফিসারের ভুয়ো পরিচয়পত্রও মেলে। নরেশকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় জানা যায়, লোকজনকে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন কাজ আদায় করতেই নিজেকে আইপিএস বলে পরিচয় দিত নরেশ।