রাজভবনের ঠিকানা দিয়ে প্রতারণা সনাতনের!
সম্পত্তি কেনাবেচার নামে প্রতারণাচক্রের শিকড় রাজভবন পর্যন্ত বিস্তৃত! গড়িয়াহাট-কাণ্ডের তদন্তে নেমে কার্যতই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। জানা গেল, নিজের দফতর বলে ধৃত সনাতন রায়চৌধুরীর সহযোগী যে ঠিকানা দেন, সেটি আসলে রাজভবনের। এর আগে, কসবা ভুয়ো টিকা কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব পুরসভার নামে অ্যাকাউন্ট খুলে দিব্যি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু গড়িয়াহাট-কাণ্ডে যে রাজভবনের নাম উঠবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি তদন্তকারীরা।
গড়িয়াহাট থানা এলাকায় জমি-বাড়ি বিক্রিতে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়িয়াহাটের ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনের যে বিপুল টাকার সম্পত্তি দখল করতে গিয়েছিলেন সনাতন, তার মালিকের সঙ্গে নিজের সহযোগী অমরনাথ মেহতার পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। ভুয়ো গল্প ফেঁদে জানান, অমরনাথ পেশায় প্রোমোটার। তিনিই সম্পত্তিটির যাবতীয় কাজকর্ম দেখবেন। অমরনাথ জানান, সরকারি রেকর্ডে প্রোমোটার হিসেবে তাঁর নাম নথিভুক্ত রয়েছে।
কোথাও যাতে কোনও সন্দেহ দেখা না দেয়, তার জন্য অমরনাথ নিজের দফতরের ঠিকানাও দেন সম্পত্তির মালিককে। তাতে লেখা দফতরের ঠিকানা লেখা ছিল, ‘ ৬/১ রেডক্রস প্লেস’। কিন্তু ওই ঠিকানা ধরে তদন্ত করতে গিয়েই অবাক হয়ে যান তদন্তকারীরা। দেখা যায়, নিজের দফতরের যে ঠিকানা অমরনাথ দিয়েছিলেন, তা আসলে রাজভবনের ঠিকানা।
কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী সনাতন রাজ্য সরকার এবং সিবিআই-এর আইনজীবী হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেন। তাঁর কাছ থেকে বিজেপি-র প্রাথমিক সদস্যপদের রসিদও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মধ্যেই ‘রাজভবন যোগ’ উঠে এল।