Bidhannagar Municipality

পুরমন্ত্রীর বারণ, তবু বেসরকারি হাতেই মেলা বিধাননগরে

গত জুলাইয়ের পর থেকে বোর্ডের একটিও বৈঠক হয়নি বিধাননগর পুরসভায়। অথচ, মেলার বরাত দরপত্রের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থাকে।

Advertisement

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৬
Share:

বিধাননগর পুরসভা। —ফাইল চিত্র।

বিতর্ক সঙ্গে নিয়েই আজ, মঙ্গলবার সল্টলেকের বইমেলা প্রাঙ্গণে শুরু হচ্ছে বিধাননগর মেলা (উৎসব)। গত জুলাইয়ের পর থেকে বোর্ডের একটিও বৈঠক হয়নি বিধাননগর পুরসভায়। অথচ, মেলার বরাত দরপত্রের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। অভিযোগ, সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করানো হয়নি বোর্ডের বৈঠকে। দিনকয়েক আগে বিধাননগরের পুরপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকের পরে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সংবাদমাধ্যমকে জানান, ওই মেলা বিধাননগর পুরসভাকেই করতে হবে। এমনকি, তিনি দরপত্র বাতিলের নির্দেশও দেন।

Advertisement

মেলা বেসরকারি হাতে গিয়েছে জেনে অবাক পুরমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি তো বারণ করেছিলাম। মেলা পুরসভারই করার কথা। বেসরকারি হাতে দিয়ে কত বাড়তি লাভ ওরা করতে চায়, সে ব্যাপারে খোঁজ নেব।’’ গত বছরও বিধাননগর মেলা বেসরকারি হাতে দিতে দরপত্র ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি তাঁদের অগোচরে ঘটেছে, এই অভিযোগে সরব হন অনেক পুরপ্রতিনিধি। হইচই শুরু হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন পুর কর্তৃপক্ষ।

এ বারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। অভিযোগ, জুলাইয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত পুর বোর্ডের পূর্ণাঙ্গ বৈঠক হয়নি। তার মধ্যেই নভেম্বরে বিধাননগর মেলা (উৎসব) করার জন্য পুরসভা স্টল বুকিং, বণ্টন ও অস্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করতে দরপত্র ডাকে। একটি সংস্থা ১ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকায় বরাত পেয়েছে বলে খবর।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত জানান, তিনি মেলা বয়কট করছেন। সব্যসাচী বলেন, ‘‘বিধাননগর মেলা উৎসব একটি সরকারি ব্যবস্থাপনা। ২০১১ সালে রাজ্যে আমাদের দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকারি ভাবে এই উৎসব বিধাননগর পুরসভারই করার কথা। নগরোন্নয়ন দফতর সেই শর্তেই সামান্য মূল্যে পুরসভাকে বইমেলা প্রাঙ্গণ ভাড়া দেয়। সেই মেলা বেসরকারি হাতে দিতে গেলে সরকারের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। এমন সিদ্ধান্ত পুর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে করতে হয়। আমি মেলায় যাব না। আমার মনে হচ্ছে, প্রচুর আইনি গোলমাল রয়েছে।’’

এ সব কারণেই মেলার সাব-কমিটি থেকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি প্রসেনজিৎ নাগ ইস্তফা দিয়েছেন বলেও গুঞ্জন। প্রসেনজিৎ ইস্তফার কথা স্বীকার করলেও কারণ জানাতে চাননি। এ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী অর্ধেক প্রশ্ন শুনেই ফোন ছেড়ে দেন। উত্তর দেননি ওয়টস্যাপ মেসেজেরও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement