ফাইল চিত্র।
রাইটস-এর মতকেই সমর্থন জানালেন মুম্বইয়ের সেতু বিশেষজ্ঞ। দেশের অন্যতম সেরা সেতু বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরিচিত ভি কে রায়না টালা সেতুর হাল পরীক্ষা করে বুধবার তাঁর রিপোর্ট জমা দেন মুখ্যসচিবের কাছে। নবান্ন সূত্রে খবর, তিনিও তাঁর রিপোর্টে অবিলম্বে টালা সেতু ভেঙে নতুন করে তৈরি করার সুপারিশ করেছেন।
এর আগে রাইটস-এর বিশেষজ্ঞরাও একই মত জানিয়েছিলেন রাজ্য সরকারকে। মুখ্যসচিবের কাছে জমা দেওয়া ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার নবান্নে এ বিষয়ে বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, ভি কে রায়নাও তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, টালা সেতুর যে অংশটি রেল লাইনের উপর রয়েছে, সেই ১৮২ মিটারের হাল সবচেয়ে খারাপ। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, তৈরি করার সময় ওই সেতু পরবর্তীতে যে ভার বহন করতে পারবে বলে হিসেব করা হয়েছিল, ইতিমধ্যেই টালা সেতু তার থেকে বেশি ভার বহন করে ফেলেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে ওই সেতুর ভার বহন ক্ষমতা নিঃশেষিত।
আরও পড়ুন: পুজোর চ্যালেঞ্জ ভাল সামলেছে কলকাতা পুলিশ, বাহিনীর প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
এর আগে রাইটসও ওই একই সুপারিশ করেছিল। সূত্রের খবর, রায়নার রিপোর্টেও স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে, সেতুর বর্তমান যা হাল, তাতে সংস্কার করে বিশেষ লাভ হবে না।
প্রথমে রাইটস এবং এ বার রায়নার এই রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট যে টালা সেতুকে ঘিরে যে ট্রাফিক সমস্যা, তার এখনই কোনও সমাধান নেই। ফলে আরও অন্তত দেড় বছর বা তার বেশি সময় একই ভাবে বিকল্প পথে যান চলাচল করবে। ওই বিকল্প পথ যে মসৃণ যান চলাচলের জন্য যথেষ্ট নয় তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত।
আরও পড়ুন: বিদায় লগ্নে ব্যস্ততা তুঙ্গে কার্নিভালের
পুজোর ছুটি শুরু হওয়ার আগে সপ্তাহের কাজের দিনগুলোতে ব্যাপক যানজট হয় যশোর রোড এবং নর্দার্ন অ্যাভিনিউতে। টালা সেতুর উপর ছোট গাড়ির ভার আরও কমাতে কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই পুরোপুরি উত্তরমুখী করে দিয়েছে লকগেট উড়়ালপুলকে। তবে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের আধিকারিকরা মনে করেন, আরও বিকল্প পথ তৈরি করতে হবে কারণ সমস্যাটি দীর্ঘমেয়াদি। সে ক্ষেত্রে রেল লাইনের উপর দিয়ে লেভেল ক্রসিং তৈরি করে যান চলাচল করানোর সম্ভবনাও রয়েছে বলে ইঙ্গিত। কারণ বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট থেকে আশঙ্কা, হয়তো বেশি দিন ছোট গাড়িও চলাচল করতে দেওয়া যাবে না ওই সেতুর উপর দিয়ে। সে ক্ষেত্রে এখন থেকেই বিকল্প ব্যবস্থা না করলে মুখ থুবড়ে পড়বে গোটা যান চলাচল ব্যবস্থা।