ভেঙে ফেলতেই হবে টালা সেতু, মত বিশেষজ্ঞের

বিকল্প সেতু নির্মাণের কাজ এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করার পক্ষে সওয়াল করেন রাজ্য প্রশাসনের একাধিক কর্তা।

Advertisement

 নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:১৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

তিন টনের কম ওজনের যান চলাচল করলেও টালা সেতু মেরেকেটে বড়জোর দু’মাস চালু রাখা যেতে পারে। নিজের রিপোর্টে বুধবার রাজ্যকে এমন কথাই জানালেন মুম্বইয়ের সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না। রেলের আওতাধীন উপদেষ্টা সংস্থা ‘রাইটসের’ সুপারিশকেই কার্যত সমর্থন করে দ্রুত ওই সেতু ভেঙে ফেলার সুপারিশ করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেতু ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যান চলাচলের বিকল্প রাস্তা কী হবে, তা ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। টালা ব্রিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী শনিবার নবান্নে বৈঠকে বসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

এ দিন সকালে মুখ্যসচিব রাজীব সিংহের কাছে রিপোর্ট জমা দেন রায়না। এর পরেই পূর্ত দফতরের সচিব-সহ অন্যান্য আধিকারিক, রেলের কর্তা, ‘রাইটসের’ প্রযুক্তিবিদ এবং কলকাতা পুলিশের ট্রাফিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। সেখানেই সেতু ভেঙে ফেলার বিষয়টি আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর।

বিকল্প সেতু নির্মাণের কাজ এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করার পক্ষে সওয়াল করেন রাজ্য প্রশাসনের একাধিক কর্তা। যদিও বৈঠকে হাজির প্রযুক্তিবিদদের একাংশ ওই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তাঁদের মতে, দু’ থেকে আড়াই বছরের আগে কাজ শেষ হওয়া মুশকিল। বৈঠকে রেলের আধিকারিকেরা জানান, সেতুর নকশা-সহ অন্যান্য তথ্য পেলে তা খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

Advertisement

ভি কে রায়না।

নবান্ন সূত্রে খবর, প্রায় ২৫ পাতার রিপোর্টে টালা ব্রিজের মেয়াদ ফুরিয়েছে বলে জানিয়েছেন রায়না। এখন ওই সেতুর সাড়ে ১৮ মিটার পরিসর দিয়ে হাল্কা যান চলাচল করলেও রায়না তাঁর রিপোর্টে মাত্র সাড়ে সাত মিটার অংশ সাময়িক ভাবে ব্যবহার করার পক্ষে মত দিয়েছেন। পাশাপাশি, সেতুর মাঝের ওই অংশের দু’পাশে ফুটপাত তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কারণ, দু’পাশের ফুটপাতের অবস্থা সঙ্গিন।

বছর দেড়েক আগে ‘রাইটস’ অবশ্য ওই সেতুর মাঝখানের সাড়ে ১০ মিটার অংশ ব্যবহারের উপযোগী বলে জানিয়েছিল। সংস্থার রিপোর্টে সেতুর ডেক বা ভারবহনকারী অংশটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। ‘প্রি স্ট্রেসড’ কংক্রিটের গার্ডার জুড়ে তৈরি করা সেতুর পাটাতন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জল চুঁইয়ে পড়ায় গার্ডারের ভিতরে থাকা ইস্পাতের রডও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। দুটি গার্ডারের মাঝের ফাঁক বেড়ে যাওয়ায় সেতুর ভারবহন ক্ষমতা লক্ষ্যণীয়ভাবে কমে গিয়েছে বলে জানানো হয়। রায়নার রিপোর্টেও এমন কথাই লেখা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement