থইথই: অল্প বৃষ্টিতেই জল জমেছে লিলুয়া স্টেশন রোডে। সোমবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
উত্তর হাওড়ার জলসঙ্কট মেটাতে অবশেষে কলকাতা পুরসভার সাহায্য নিল হাওড়া পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, হাওড়া ইম্প্রুভমেন্ট ট্রাস্টের (এইচআইটি) কমিউনিটি হলের নীচ দিয়ে যাওয়া ৭৫০ মিলিমিটারের পাইপ ফেটে যে বিপত্তি হয়েছিল, তা মেটাতে সোমবার থেকেই কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভার পাঠানো একটি বিশেষজ্ঞ-সংস্থা। তবে সালকিয়া ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে নয়, অন্য পথে ওই একই মাপের পাইপ বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সেই কাজও শুরু হয়েছে।
শনিবার রাতে এইচআইটি ভবনের নীচ দিয়ে যাওয়া পদ্মপুকুর জল প্রকল্পের ৭৫০ মিলিমিটারের পাইপ ফেটে প্লাবিত হয় আশপাশের এলাকা। রাত থেকেই জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় উত্তর হাওড়ার বিস্তীর্ণ অংশে। জল না-পেয়ে সোমবারও চূড়ান্ত নাকাল হয়েছেন অন্তত সাতটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ওই ওয়ার্ডগুলি হল ৩, ৪, ৫, ১১, ১২, ১৪ এবং ১৫। পানীয় জল না-পেয়ে সেখানকার বাসিন্দারা হাওড়া পুরসভার ফেসবুক পেজে অভিযোগ জানান।
হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আমাদের ইঞ্জিনিয়ারেরা এই কাজ করতে পারবেন না বুঝেই কলকাতা পুরসভার সাহায্য চাওয়া হয়। তাদের তরফে এই বিষয়ে অভিজ্ঞ একটি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার-সহ ৫০ জন কর্মীকে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা কাজ করছেন।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, ওই বিশেষজ্ঞ সংস্থাটি জানিয়েছে, ফেটে যাওয়া পাইপটি বার করতে গেলে কমিউনিটি হলের ক্ষতি হতে পারে। তাই ওই বাড়িটির পিছন দিয়ে পাইপলাইন ঘুরিয়ে দিতে হবে। এর জন্য ৭৫০ মিলিমিটারের নতুন পাইপ সঙ্গে এনেছে ওই সংস্থা।
হাওড়া পুরসভার এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘পুরো কাজটি খুবই সময়সাপেক্ষ। নতুন পাইপ বসানোর পরে পুরনো পাইপের সঙ্গে সেটি ঝালাই করতে হবে। তখন বন্ধ রাখতে হবে জল সরবরাহ। তাই কবে থেকে সাতটি ওয়ার্ডে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।’’
এইচআইটি-র চেয়ারম্যান সুলতান সিংহ জানান, কমিউনিটি হলের নীচ দিয়ে যাওয়া পাইপটি ভবনের একটি স্তম্ভের গা-ঘেঁষে গিয়েছে। তবে তাতে বাড়িটির ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এই কাজ কী ভাবে করা হল, তা দেখা হচ্ছে।