Missing

এক মাস পরেও খোঁজ নেই ব্যবসায়ী-পুত্রের, উদ্ধার শুধু বাইক

হাওড়ার বেলুড়ের লোহাপট্টির ব্যবসায়ী রাম পরবেশ আগারওয়ালের ছেলে তনুজের এই রহস্যজনক অন্তর্ধানকে ঘিরে চাঞ্চল্য রয়েছে এলাকায়। যুবকের পরিবারের তরফেঘটনার পরেই বেলুড় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৬
Share:

তনুজ আগারওয়ালা। —ফাইল চিত্র।

সকাল সাড়ে ৮টার সময়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। গন্তব্য ছিল মাত্র ৭০০ মিটার দূরে নিজেদের কারখানা। গত ১৪ অগস্ট তখনই ৩১ বছরের তনুজ আগারওয়ালকে শেষ বার দেখেছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। ওই দিন কারখানা থেকে মাকে ফোন করে তিনি জানিয়েছিলেন যে, প্রাতরাশ করতে বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টা বেজে গেলেও তনুজ বাড়ি না ফেরায় পরিবারর লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু খোঁজ মেলেনি ওই যুবকের। শুধু তাঁর মোটরবাইকটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে বালি সেতুর শেষ প্রান্তে। এক মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও নিখোঁজ যুবকের কোনও সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

হাওড়ার বেলুড়ের লোহাপট্টির ব্যবসায়ী রাম পরবেশ আগারওয়ালের ছেলে তনুজের এই রহস্যজনক অন্তর্ধানকে ঘিরে চাঞ্চল্য রয়েছে এলাকায়। যুবকের পরিবারের তরফেঘটনার পরেই বেলুড় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। তার দু’দিন পরে অপহরণের অভিযোগ করে মামলা দায়ের করেন তনুজের বাবা। ওই পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তার পরেও চার সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু মুক্তিপণ চেয়ে কোনও ফোন আসেনি তাঁদের কাছে। নিখোঁজ তনুজের বাবা বলেন,‘‘আমাদের পরিবারে আর্থিক কোনও সমস্যা নেই। ছেলের সঙ্গে কারও কোনও গোলমাল হয়নি। মানসিক অবসাদেও ভুগছিল না। ছেলে অপহৃত হয়েছে নাকি অন্য কিছু হয়েছে, তা বুঝতে পারছি না।’’

হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ওই দিন তনুজ মোটরবাইক নিয়ে বালি সেতু দিয়ে দক্ষিণেশ্বরের দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার পরে তাঁর আর কোনও সন্ধান মেলেনি। বাইকটিপরিত্যক্ত অবস্থায় সেতুর শেষ প্রান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ওই কর্তা বলেন, ‘‘সেতুর শেষ প্রান্তে যেখানে মোটরবাইকটি উদ্ধার হয়েছে, তার পাশ দিয়ে একটি রাস্তা গঙ্গার জেটিঘাটের দিকে গিয়েছে।আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন, এমন আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে গঙ্গাতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। তাতে কোনও ফল মেলেনি।’’পুলিশ জানায়, ওই যুবকের ছবি রাজ্যের সমস্ত থানায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু গত এক মাসে কোথাওথেকে তনুজ সংক্রান্ত কোনও খবর আসেনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement